কমলগঞ্জে যৌতুকের দাবীতে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

    0
    228

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৯জুন,কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কমলগঞ্জে যৌতুকের কারণে এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতন করে ঘরে তালা দিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা গৃহবধূকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

    এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।অভিযোগ ও পরিবারসূত্রে জানা গেছে, কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের উত্তরভাগ গ্রামের মৃত আজিদ মিয়ার মেয়ে সালমা বেগমের সাথে একই উপজেলার ভানুবিল গ্রামের মোঃ ফজর মিয়ার ছেলে এখলাছ মিয়ার সাথে বিয়ে দেয়া হয়।

    বিয়ের সময় তাদের সাধ্যমত পাত্রকে যৌতুক দেয়া হয়। মেয়ে ভালো থাকার জন্য বিয়ের পরও বিভিন্ন সময় স্বামীর চাহিদামত টাকা দেয়া হতো সালমার পরিবার থেকে। এরপরেও বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে সালমাকে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    বৃহষ্পতিবার(২৮জুন) স্ত্রী সালমা বেগমকে পিতার বাড়ি থেকে একলক্ষ টাকা যৌতুক আনার জন্য বললে সে অপারগতা প্রকাশ করে। এরপরই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্দেশে তার উপর নেমে আসে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক শারীরিক নির্যাতন। নির্যাতন করে ঘরে অজ্ঞান অবস্থায় রেখে তালা দিয়ে রাখা হয় নির্যাতিতা সালমাকে।

    শুক্রবার সকালে  প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য কে,মনীন্দ্র কুমার সিংহ ও বশির বক্সকে নিয়ে সালমার বাপের বাড়ীর লোকজন তাকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। স্ত্রীকে নির্যাতনের পর থেকেই স্বামী এলখাছ মিয়া পলাতক রয়েছে। ইউপি সদস্য কে,মনীন্দ্র কুমার সিংহ ও বশির বক্স ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও এলখাছ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

    এ ঘটনায় সালমা বেগমের বড় ভাই কামাল মিয়া শুক্রবার দুপুর দুইটায় কমলগঞ্জ থানায় স্বামীসহ ৪জনের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোকতাদির হোসেন পিপিএম জানান, অভিযোগ পাওয়া সাপেক্ষ তদন্দক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।