কমলগঞ্জে মেম্বারের পায়ে ধরেও ছেলেকে বাঁচাতে পারেনি মা

    0
    531

    কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ২০/২৫ জনের সংঘবদ্ধ প্রতিপক্ষের হামলায় কমলগঞ্জে মুহিদ মিয়া (৩১) নামে এক সিএনজি চালক গুরুতর আহত হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা তার বাড়িঘরও ভাঙচুর করেছে। আহত মুহিদ মিয়া মৌলবীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকালে উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের হেরেংগাবাজার এলাকায়। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে ।

    হামলায় আহত মুহিদ মিয়া,তার মা আকারুন বেগম ও বাবা পুতুল মিয়া অভিযোগ করেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতেই মুহিদ মিয়াকে বনগাঁও গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া, জুবেল মিয়া, জুয়েল মিয়া তাদের সহযোগী রুবেল মিয়া,আছকির মিয়া, ময়না মিয়া, আখলিছ মিয়া, সোবহান মিয়া, শামীম মিয়া,ফুল মিয়া, মোস্তাকীন মিয়া সহ ২০/২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দা ছোরাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রযোগে মুহিদ মিয়ার উপর হামলা চালায়। এ সময় আকারুন বেগম ছেলেকে বাঁচাতে ইউপি সদস্য আছকর খাঁনের পায়ে ধরে আকুতি মিনতি করলেও তিনি কর্নপাত করেননি।

    এক পর্যায়ে মুহিদ আত্মরক্ষার্থে ঘরে গিয়ে খাটের নীচে লুকিয়ে পড়লেও সেখান থেকে তারা তাকে টেনে হিচড়ে বের করে রাস্তার পাশে ধানক্ষেতে ফেলে মধ্যযুগীয় কায়দায় বেধড়ক মারপিট করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়।

    এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলাস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় পরে সেখান থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহত মুহিদ মিয়া অভিযোগ করেন, ইউপি সদস্য আছকর খাঁন প্রথমেই তার মাথায় আঘাত করেন পরে সবাই মিলে তাকে দৌড়াইয়া মারপিট করে।

    রবিবার (২৫আগষ্ট) সকালে সরজমিন গিয়ে এলাকাবাসী ও মুহিদ মিয়ার আত্মীয় স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়,ঘটনার দিন বিকালে টমেটো বাগানে বাঁশের খুঁটি সংক্রান্ত বিষয়ে হেরেংগাবাজার আবু তাহেরের দোকানে মুহিদের সাথে বাক বিতন্ডার মাধ্যমেই ঘটনার সূত্রপাত।

    অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আছকর খাঁন, সোহেল মিয়ার পিতা চান্দু মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রথমে মুহিদ মিয়া সোহেল মিয়ার মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করে ।খবর পেয়ে সোহেল মিয়ার অন্যান্য ভাই ও আত্মীয় স্বজন ছুটে আসে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।আছকর খাঁন হামলার সাথে কোনভাবেই সরাসরি জড়িত নন।

    পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক শহীদুর রহমান জানান, তদন্তক্রমে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানূগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।