কমলগঞ্জে মিনা হত্যার আসামী ১৮দিন পর গ্রেফতার

    0
    434

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০১এপ্রিল,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ   চাঞ্চল্যকর মিনা হত্যা মামলার প্রধান আসামী সুপেন সবর প্রকাশ রঞ্জিতকে ১৮ দিনের মাথায় গ্রেফতার করেছে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ। প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় মিনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক প্রেমিক।
    গত ১২ ই মার্চ সোমবার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের শীমান্তবর্তী নন্দরানী চা বাগানের চা শ্রমিক মালচি অলমিক এর মেয়ে মনি অলমিক (১৭) সকাল ১০ টায় বাড়ী থেকে বেড় হয়ে আর বাড়ী ফিরেনি।
    পরে বিকাল চার টার দিকে চা বাগানের ৭নং সেকশনের মধ্যে মুখে ও গলায় ওড়না পেচাঁনো অবস্হায় মনির লাশ পাওয়া যায়।বিষয়টি কমলগঞ্জ থানাকে খবর দিলে এসআই আব্দুস শহিদের নেতৃত্বে
    পুলিশের একটি দল সহ বাগান ব্যবস্হাপক ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতের সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়।
    পরবর্তীতে নিহত মনির পিতা মালচি অলমিক বাদী হয়ে গত ১৩ই মার্চ অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে ও অজ্ঞাতনামা আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে থানা পুলিশ।
    এদিকে হত্যার ১৮ দিনের মাথায় অর্থাৎ গত ৩০ই মার্চ শুক্রবার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল সার্কেল) মোঃ আশরাফুজ্জামান এর সার্বিক সহযোগীতায় এসআই আব্দুস শহিদ, ও এসআই ফরিদ মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত সন্দেহে শ্রীমঙ্গল উপজেলার মগলাম বস্তির মৃত বন সবরের পুত্র সুপেন সবর প্রকাশ রঞ্জিত (৩৮) কে গ্রেফতার করে।
    আটক সুপেন সবর প্রকাশ রঞ্জিত নন্দরানী চা বাগানে নিয়ে যাওয়া হয় জনসম্মুখে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে একপর্য়ায় সে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল সার্কেল) এবং নন্দরানী চা বাগান ব্যবস্থাপক,স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এলাকার লোকজনদের উপস্থিতিতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কিভাবে সে মিনা অলমিককে হত্যা করেছে তার পুরা বর্ণনা দেয়।
    ৩১ শে মার্চ শনিবার সকালে সুপেন সবর প্রকাশ রঞ্জিত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় কিভাবে সে মিনাকে হত্যা করেছে তার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয় ।পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।