কমলগঞ্জে ভূমিখেকোদের অত্যাচারে অতীষ্ঠের দাবী

    0
    402

    কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের ছনগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী হাজী মোঃ মতলিব মিয়ার পরিবার এলাকার একটি চিহ্নিত মামলাবাজ ও ভূমি খেকো চক্রের অত্যাচারে অতীষ্ঠ ।সোমবার দুপুরে কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তবে ছনগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী হাজী মোঃ মতলিব মিয়া বলেন, এলাকায় ভূমি দখল, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, লুটপাট, মিথ্যামামলা দায়ের করে নিরীহ লোকজনদের হয়রানী সহ বিভিন্ন অপরাধ তৎপরতার সাথে জড়িত এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মন্নান গং চক্রটি। এই সংঘবদ্ধ চক্রটি এলাকায় একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করলেও প্রাণভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাসহ পায়না। তাদের এহেন অপঃতৎপরতায় গোটা এলাকাবাসী এখন আতংকগ্রস্থ।

    তিনি বলেন, প্রায় ১০ বছর পূর্বে একই এলাকার প্রমোদ শর্ম্মা ও প্রণয় শর্ম্মার নিকট থেকে দূঘর মৌজাস্থিত ৫২৪৬ নং এস,এ দাগের ৩২ শতক ভূমি খরিদ করিয়া যথারীতি ভোগ দখলদার বিদ্যমান থাকিয়া বর্গাদারের মাধ্যমে হালসন পর্যন্ত চাষাবাদ করিয়া আসছেন।

    প্রবাসে থাকায় যথাসময়ে দলিল রেজিষ্ট্রি করিতে পারেন নাই। দেশে এসো চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি তার খরিদকৃত ভূমির রেজিষ্ট্রিকার্য সম্পাদন করি (দলিলনং ১৮৮)। এবং যথারীতি নিজ নামে ২৩৩৮ নং নামজারী খতিয়ান সৃজন করাইয়া ১৪২৫ বাংলা সন পর্যন্ত খাজনাদি পরিশোধ করেন।

    মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী হাজী মোঃ মতলিব মিয়া বলেন, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মন্নান আমার বসত বাড়ীতে এসে ১ লক্ষ টাকা আমার নিকট হাওলাত চায়। এতে অপারগতা প্রকাশ করলে সে আমার খরিদকৃত ৩২ শতক জমি দখল করার হুমকি প্রদান করে।

    এ বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবগর্গের কাছে বিচার চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সন্ত্রাসী মন্নান ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা । আমাকে নানা প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করতে থাকে এবং এলাকায় প্রচার করিতে থাকে যে, আমার খরিদকৃত সম্পত্তি তাহারা খরিদ করিয়াছে।

    মধ্যপ্রচ্য প্রবাসী নিরুপায় হয়ে খরিদকৃত সম্পত্তিতে ন্যায্য অধিকার রক্ষার্থে মন্নান গং এর বিরুদ্ধে গত গত ১০ মার্চ মৌলভীবাজার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ৬০/২০১৮ নং স্বত্ব মামমলা দায়ের করেন।

    মামলা চলমান থাকা অবস্থায় গত ১২ আগস্ট রাতে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত বিশাল বাহিনী নিয়ে প্রবাসীর খরিদকৃত জমি জোরপূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে জমিতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া ট্রাক্টর দ্বারা হালচাষ শুরু করে। এতে বাঁধা প্রদান করলে মন্নান ও তার দলবলসহ আমার ভাই ও তার স্ত্রীর উপর হামলা চালিয়ে আহত করে।

    মামলাবাজ ও ভূমি খেকো সন্ত্রাসী মন্নান ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কমলগঞ্জ থানায় আমিসহ ৩৩ জনকে আসামী করে একটি হয়রানীমূলক মামলা দায়ের। পরদিন আমরা থানায় এসে মন্নানগংদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু আমাদের দায়েরকৃত অভিযোগের কোন ব্যবস্থা না নিয়ে পুলিশ উল্টো প্রতিপক্ষের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় আমাদেরকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চালায়।

    গত ৩০ শে আগষ্ট আদালতের মাধ্যমে জামিন প্রাপ্ত হয়ে আমরা বসত বাড়ীতে ফিরে আসার পর থেকে সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে নানা প্রকার হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে।

    এ ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য আং মন্নানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। কমলগঞ্জ থানার নবাগত ওসি মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, আমি কমলগঞ্জ থানায় সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।