কমলগঞ্জে ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থদের মানববন্ধন

    0
    242

    কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের কেওয়ালী ঘাট ও হকতিয়ার খলা গ্রামের ধলই নদীর ভাঙ্গন রোধ ও ক্ষতিগস্থদের প্রয়োজনীয় সাহায্য করার দাবিতে নদী তীরে মানববন্ধন করেছেন গ্রামবাসী। সোমবার (২ জুলাই) সকালে হকতিয়ারখলা গ্রামের ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন এলাকায় দাঁড়িয়ে মণিপুরি আদিবাসী নারী পুরষেরা এ মানবন্ধন করেন।

    আদমপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: জুমের আলীর সভাপতিত্বে মানবন্ধনে স্থানীয় জনগন ছাড়াও আরও অংশ নেন  ইউপি সদস্য মো: বশির বক্স, ইউপি সদস্য কে মনিন্দ্র সিংহ প্রমূখ। মানবন্ধন চলাকালে ইউপি সদস্যরা বলেন, আদমপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ছাড়াও ৩ নং ও ৬নং ওয়ার্ডে নদী ভাঙ্গনে ৬ শতাধিক পরিবার ক্ষতিগস্থ হয়।

    এদের মধ্যে কেওয়ালী ঘাট ও হকতিয়ারখলা গ্রামের নদীতীরবর্তী অনেক বসতঘর সম্পূর্ণরুপে নদী গর্বে বিলিন হয়েছে। জমির রোপিত আউশ ফসল  বিনষ্ট হয়েছে। সরকারীভাবে ব্যাপক ত্রাণ সামগ্রী আসলেও এখানকার প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা তেমন ত্রাণ সহায়তা পাননি।

    এজন্য ইতিমধ্যেই নারী ও পুরুষ মিলিয়ে ৬ জন্য ইউপি সদস্য ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ইউপি চেয়ারম্যান আবদাল  কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।নতুন করে আউশ ধান রোপন করা যাচ্ছে না। তারা আরও বলেন, এখনই ধলাই নদীর ভাঙ্গন এলাকা মেরামত করে প্রতিরক্ষা বাঁধের বাকি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান সংস্কার করতে হবে। তা নাহলে আগামীতে আমন ধানও চাষাবাদ করা সম্ভব হবে না।

    আদমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন বলেন, কেওয়ালীঘাট ও হকতিয়ার খলা গ্রামে নদী ভাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ গ্রামগুলির ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝেও ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।

    কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ গ্রহনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ক্ষতিগ্রস্থ কেই ত্রাণ না পেলে তালিকা দিলে অবশ্যই তাদের ত্রাণ দেওয়া হবে। নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন মেরামতের কাজও শুরু হয়ে গেছে।