কমলগঞ্জে দুধর্ষ ডাকাতি,নারীসহ গুলিবিদ্ধ-৩,আহত-৫

    0
    267

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৯সেপ্টেম্বর,শাব্বির এলাহী: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সোমবার(১ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে এক দুধর্ষ ডাকাতিতে নারীসহ ৩জন গুলিবিদ্ধ হয়ে ৫জন আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকলে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মুখোশপড়া ১৫-২০ সদস্যের ডাকাতদল পরিবারের সদস্যদের গুলি ও কুপিয়ে লুট করে নিয়েছে নগদ স্বর্নলাংকার,মোবাইলসহ প্রায় ৮/১০ লাখ টাকার মালামাল। এ দিন দিবাগত রাত ২টায় উপজেলার জালালিয়া গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা নিপতি রঞ্জন চৌধুরীর বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালালসহ পুলিশির একটি দল ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।
    বাড়ির লোকজনরা জানান, সোমবার ভোররাতে মুখোশপড়া ১৫/২০ জনের একটি ডাকাত দল শ্রীমঙ্গল সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার নিপতি রঞ্জন চৌধুরীর ঘরের কলাপসিবল গেটের তালা ও পরে দরজা ভেঙ্গে ঘরে মধ্যে প্রবেশ করে ঘুমে থাকা পরিবারের লোকজনকে বেঁধে আলমারির ভেঙ্গে কাপড় চোপড় তছনছ করে। একই সময়ে আরেকটি দল প্রতিবেশী আপন ভাই ধনবতী চৌধুরী ও বিশ্ববতী চৌধুরীর ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে পুরুষদেরকে বেঁধে আলমারি ভেঙ্গে মালামাল তছনছ করে।

    ডাকাতরা ব্যাংকার নিপতি রঞ্জনকে বেঁধে নির্যাতন করার সময়ে বাবাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে ছেলে শাহীন কলেজে পড়ুয়া দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিরুপম চৌধূরী (১৬), মেয়ে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী অনামিকা রানী চৌধুরী (১৯)সহ তিনজনকে গুলি করে। পার্শ্ববর্তী ঘরের ধনবতী চৌধুরী (৪২) ও বিশ্ববতী চৌধুরী (৩৮) কে দা দিয়ে কূপিয়ে গুরুতর আহত করে। ডাকাত দল দুইটি ঘর থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা, ২০ ভরি ওজনের স্বর্ন ও ৪টি মোবাইল ফোনসহ প্রায় ৮/১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

    ডাকাত দল ফাঁকা গুলি করে এলাকা ত্যাগ করে। পরে আহতদের ভোরেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।সংবাদ পেয়ে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালেও ডাকাত দলকে ধরতে পারেনি। এ দিকে পুজার আগে একটি সংখ্যালঘুর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির সংবাদ পেয়ে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল কমলগঞ্জের জালালিয়া গ্রামে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

    এ সময় সঙ্গে ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ারুল ইসলাম ও এএসপি সার্কেল মো. আশফাকুজ্জামান। এছাড়া স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক বাদশা, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ সদস্য মো. হেলাল উদ্দীন আহতদের পরিবারকে শান্তনা দেন।

    এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত (ওসি,ওসি তদন্ত ছুটিতে) এসআই মিহির রঞ্জন দে বলেন, ঘটনাটি ডাকাতি। পুলিশের তদন্ত চলছে। তবে এখানো কোন অভিযোগ পাইনি পেলে মামলা হবে।