কমলগঞ্জে ডাকাতি,৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট

    0
    237

    কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর চা বাগানে এক চা শ্রমিক ও সিএনজি অটোরিক্সা চালকের বাসার কলাপসিবল গেইট ও দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে নারী পুরুষ সবাইকে বেধে রেখে এক শিশুর গলায় দা ধরে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকতাদল ঘরের সব কিছু তছনছ করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে শমশেরনগর ৬ নম্বর শ্রমিক বস্তিতে এ ঘটনাটি ঘটে। অপর ঘটনাটি মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় পাশ্ববর্তী কানিহাটি চা বাগানে নারায়ন বীনের বাসায় একইভাবে ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ ও জনপ্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
    ডাকাত আক্রান্ত শমশেরনগর সিএনজি অটোরিক্সা চালক অন্তর রাজভর বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়লে রাত দেড়টার দিকে ১৬ থেকে ১৭ জনের মুখোশপরা সশস্ত্র একদল ডাকাত প্রথমে বাসার কলাপসিবল গেইট ভাঙ্গে। পরে তারা ঘরের সামনের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় তিনি ঘুম থেকে উঠে পড়লে তাকে ও তার বাবাকে এক রঁশিতে বেধে ফেলে। তার মাসহ ঘরের নারীদেরও বেঁধে এক পর্যায়ে একটি শিশুর গলায় লম্বা একটি দা ধরে ঘরের আলমারী ভেঙ্গে তছনছ করে। সে সময় পরিবারের তিন সদস্যের কষ্টের সঞ্চিত নগদ ৩০ হাজার টাকা, আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, ৫টি মুঠোফোন, একটি ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি, সিলিন্ডারসহ গ্যাসের চুলা ও একটি ডিভিডি লুটে নেয় ডাকাতদল। ডাকাতদল ঘরের আইপিএস সংযোগ খুলে নিলেও বাসার বাইরে ফেলে যায়। সব মিলিয়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে। অন্তর রাজভর আরও বলেন ডাকাতদলের দুই এক জনের হাতে পিস্তল ও বাকিদের সবার হাতে লম্বা দা ছিল।
    কানিহাটি চা বাগানের নারায়ন বীনের ছেলে সঞ্জীব বীন বলেন, একইভাবে ডাকাতদল এ বাসারও দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে বাসার সবাই বেধে রেখে ডাকাতি করেছে। তারা ব্যবসার নগদ ৬০ হাজার টাকা, ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, ব্যবহারীসহ বিক্রির জন্য রাখা ১৫টি মুঠোফোনসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে।
    কানিহাটি চা বাগনের ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সীতারাম বীন বলেন, একইভাবে পাশাপশি দুটি চা বাগানে ডাকাতি ঘটনায় সাধারণ চা শ্রমিক পরিবারে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত সপ্তাহেও আলীনগর চা বাগানে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছিল।
    শমশেরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ বলেন, যেভাবে ডাকাতি হয়েছে তাতে বাঁধা দিলে বাসার লোকজন হতাহত হতেও পারতেন। ঘটনাটি পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
    শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।