কমলগঞ্জে চাচাত ভাইয়ের হাতে প্রবাসী খুনঃআটক-১

    0
    255

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৮মার্চ,শাব্বির এলাহী,কমলগঞ্জঃ বসতভিটা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে চাচাত ভাইয়ের লাঠির আঘাতে প্রবাসি আবুল হোসেন (৪০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ জনতা ঘাতক প্রবাসী রুবেল মিয়াকে মুন্সীবাজার জামে মসজিদের ভিতর থেকে আটক করে বুধবার দুপুরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

     পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, পতনঊষার ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে মছদ্দর আলীর ছেলে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী আবুল হোসেন (৪০) এক মাস পূর্বে দেশে আসেন। বসতবাড়ির পুরাতন ভিটা নিয়ে একই বাড়ির প্রতিবেশি মৃত ইছাক মিয়ার পরিবারের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। আবুল হোসেন দেশে আসার পরও প্রায় সময় তর্ক বিতর্ক লেগে যেত। পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২৪ মার্চ শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে প্রবাসী আবুল হোসেন বাড়ির উঠানে আসলে দুপুর প্রায় আড়াইটায় প্রতিবেশি মৃত ইছাক মিয়ার পুত্র প্রবাসী রুবেল মিয়া (২৮), নজরুল ইসলাম (২৬), খয়রুল ইসলাম (২৪) গংরা তার উপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে প্রবাসী রুবেল মিয়ার হাতে থাকা কাঠের রোল দিয়ে প্রবাসী আবুল হোসেনের মাথায় আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

    গুরুতর আহত প্রবাসী আবুল হোসেনকে দ্রুত মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় প্রবাসী আবুল হোসেন গত সোমবার বিকাল ৩টায় মৃত্যুবরণ করেন। আলাপকালে মামলার বাদী আব্দুর রউফ জানান, তার বড় ভাই আবুল হোসেন ২ মাসের ছুটিতে দেশে আসছিল। তার ৪ বছরের ১টি মেয়ে ও ১ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু বসতভিটার বিরোধের জের ধরে গত শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে বাড়ির উঠানে সামান্য কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চাচাতো ভাই রুবেলের কাঠের রোলের আঘাতে মাথা ও নাক, মুখে রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়েছিল।

    এ ঘটনায় প্রবাসী আবুল হোসেনের ছোটভাই মো. আব্দুর রউফ বাদী হয়ে সোমবার রাতেই ৪ জনকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নং ১৩) দায়ের করেন। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ জনতা ঘাতক প্রবাসী রুবেল মিয়াকে মুন্সীবাজার জামে মসজিদের ভিতর থেকে আটক করেন। খবর পেয়ে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আবু সায়েম তাকে গ্রেফতার করে কমলগঞ্জ থানায় নিয়ে যান।

    কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার এজাহারভূক্ত প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্যদের আটকের জোর চেষ্টা চলছে।