কমলগঞ্জে কলেজ ছাত্রী তান্নি হত্যা রহস্য উদঘাটনের দাবি

    0
    241

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৩এপ্রিল,কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: কমলগঞ্জ উপজেলার গোপাল নগর রেলক্রসিং এলাকা থেকে অনার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষার্থী তাসরিকা হক তান্নি এর খন্ডবিখন্ড মরদেহ উদ্ধার ঘটনায় মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন তান্নির শ্বশুড়। পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা গৃহবধু ও শিক্ষার্থী তান্নির মৃত্যু ঘটনায় বড় ভাই বাদি হয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মৌলভীবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে হয়রানি মূলক পিটিশন মামলায় পরিবারের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে আসামী করায় মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন না করার পায়তারা করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

    মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তাসরিকা হক তান্নি (২৪) এর শ্বশুড় মজবুল আলী বলেন, পুত্রবধুর অনাকাঙ্খিত মৃত্যু ঘটনায় আমরা গোটা পরিবার সদস্যবৃন্দ মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্ত ও শোকাহত। গত ২৮ মার্চ তান্নি অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিতে গিয়ে ঐদিন সন্ধ্যায় আর বাড়ি ফিরে আসেনি। দেরী দেখে আমরা খোঁজাখুঁজি শুরুর এক পর্যায়ে সন্ধ্যা ৭ টায় তান্নি তার নাম্বার থেকে স্বামী রাসেলের মোবাইলে ফোন দিয়ে জানায় শমশেরনগর রেললাইন ধরে হাঁটছে।

    রাসেল বিষয়টি তান্নির বড় ভাই তামিমকে ফোনে জানায়। এরপর সবাই মিলে খোঁজাখুঁজির পর রাত সাড়ে ৮টায় তামিম রেলপথে তান্নির খন্ডবিখন্ড লাশ দেখতে পায়। পাঁচ মাসের অন্ত:স্বত্তা তান্নির এ ঘটনায় দুটি প্রাণের অকাল মৃত্যুর ঘটনা শুনার পর আমাদের গোটা পরিবার মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি। তান্নির সাথে আমার পরিবার সদস্যদের সু-সম্পর্ক ছিল। পারিবারিক কোন ঝামেলার কারনে তান্নির আত্মহত্যা করার প্রশ্নই উঠে না।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নিহত তান্নির ভাই আজিজুল হক তামিম বলেন, আমার বোনের স্বামী আলী ইবতেজা রাসেল, যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল এর জের ধরে বোনের স্বামী ও তার সহযোগিদের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে নির্যাতনের পর প্রাণে হত্যা করে রেললাইনের উপর ফেলে দেয়।