কমলগঞ্জের তরুণীকে শ্রীমঙ্গলের রিসোর্টে ধর্ষণের অভিযোগে হবিগঞ্জের টিকটকার গ্রেপ্তার

0
723
কমলগঞ্জের তরুণীকে শ্রীমঙ্গলের রিসোর্টে ধর্ষণের অভিযোগে হবিগঞ্জের টিকটকার গ্রেপ্তার

জহিরুল ইসলাম,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রিসোর্টে ধর্ষণ গোপনে ভিডিও ধারণ ও প্রচারের অভিযোগে হবিগঞ্জের এক টিকটকারকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের একটি দল।

গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম মাসুদ গণি মান্না (২৫)। সে হবিগঞ্জ জেলার সদর থানার অনন্তপুর গ্রামের মৃত মলাই মিয়ার ছেলে।

অভিযুক্ত মাসুদ গণি মান্না সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার কালেঙ্গা এলাকার ছদ্ম নাম কলি (২১) নামের এক তরুনীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্পর্কের জের ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে শ্রীমঙ্গলের মৌলভীবাজার রোডস্থ একটি রিসোর্টে নিয়ে ভিকটিম তরুনী মেডিক্যাল ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ সুত্রে জানা যায়।
গতকাল মঙ্গলবার ১ লা ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখ দুপুরে শ্রীমঙ্গল থানাতে লিখিত ভাবে অভিযোগ করে দাবী করেন, তরুণীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে তা ভিডিও ধারন করে ফেক আইডির মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

বিষয়টি ভুক্তভোগীর নজরে আসলে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলার পর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হুমায়ূন কবিরের সহায়তায় এসআই মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম পাঠান একদল পুলিশ নিয়ে সিলেট জেলার টুকেরপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত মাসুদ গণি মান্নাকে গ্রেফতার করে শ্রীমঙ্গল থানায় নিয়ে আসে। পরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।

এব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম উর-রশিদ তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মাসুদ গণি মান্নাকে গ্রেপ্তার করেছি আমরা। অভিযুক্তকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন পাঠান বলেন, মামলার সুত্রে জানা যায়, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুনীকে ধর্ষণ করেছে মাসুদ গণি মান্না। তরুনী প্রতারণার স্বীকার হয়েছে। আমরা তরুনীকে তার মায়ের কাছে দিয়েছি। আসামীকে কোর্টে চালান করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।