কমলগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর বেহালদশা

    0
    368

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,২৮ডিসেম্বর,শাব্বির এলাহী,কমলগঞ্জঃ দীর্ঘ বৃষ্টি আর ভারী-যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ টু শমসেরনগর- চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন যাওয়ার রাস্তা এবং কমলগঞ্জ- শ্রীমঙ্গল যাওয়ার প্রধান দুটি সড়ক হাজারো গর্ত ও কাপের্টিং উঠে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক দু’টিতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুঘটনা। বেহাল রাস্তায় চলাচল করা যানবাহন প্রায়ই নষ্ট হয়ে বিকল হচ্ছে। চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।

    সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা সদর থেকে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর হয়ে কুলাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরের সাথে যুক্ত হয়েছে মৌলভীবাজার টু কমলগঞ্জ উপজেলার প্রধান সড়কটি। ভারতের সাথে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে সড়কটি ব্যবহূত হচ্ছে। চাতলাপুর চেকপোস্টের মাধ্যমে পাসপোর্টধারী যাত্রীরাও দুই দেশে যাতায়াত করে থাকেন। সড়কটি জেলা সদরের সাথে কমলগঞ্জ উপজেলা ও কুলাউড়া উপজেলার সাথেও সংযুক্ত। টানা কয়েক মাসের টানা বৃষ্টিতে ৩৪ কি.মি. দীর্ঘ এ সড়কের প্রায় হাজারো স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে দুই ইি  গভীর অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন এ সড়কে যাত্রীবাহী ও মালামাল পরিবহনকারী ট্রাক-কভার্ড ভ্যান দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলছে। চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন ও কমলগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে মৌলভীবাজার জেলা সদরে যেতে ৩৪ কি.মি. পথ পাড়ি দিতে আগে ৪০/৫০ মিনিট সময় লাগলেও এখন লাগে দেড় ঘণ্টার । তাও আবার চরম দুভোর্গে মধ্যে চলাচল করতে হয় যাত্রীসহ যানবাহনকে।

    এছাড়া শ্রীমঙ্গল থেকে কমলগঞ্জ-শমশেরনগর সড়কটি কুলাউড়া উপজেলার সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এ সড়ক ব্যবহার করে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, কুলাউড়া হয়ে বড়লেখার মাধবকুন্ড জলপ্রপাত পরিদর্শনে যান। শমশেরনগর বিমান বন্দর এলাকা থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত ২১ কি.মি. সড়কের অসংখ্য স্থানে পিচ উঠে বড় বড় গর্র্তের সৃষ্টি হয়েছে। লাউয়াছড়া উদ্যানের ভেতরে পাহাড়ি এলাকায় সড়কের পার্শ্ববর্তী অনেক স্থানে মাটি সরে খাদের সৃষ্টি হয়েছে। চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এ সড়কটিও। ছোট হয়ে এসেছে রাস্তাটি।

    কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনীর সিএনজি অটোরিকশা রইচ মিয়া, আতর মিয়া, পিকআপ চালক জুয়েল আহমেদসহ  যানবাহন চালক ও যাত্রীরা বলেন, এত খারাপ সড়কে আর কখনো দেখেননি।বাধ্য হয়ে যানবাহন চালাতে গিয়ে গর্তে পড়ে মাঝে মাঝে গাড়ির অনেক যন্ত্রাংশ ভেঙে যায়। আর প্রতিনিয়ত বিকল তো হচ্ছেই। তা ছাড়া এতে সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কা যেমন বাড়ছে যাতায়াতে দীর্ঘ সময়ও ব্যয় হচ্ছে। সড়ক দুটি সংস্কার না করায় ক্ষত-বিক্ষত হয়ে এখন যান চলাচলের অনুপোযুক্ত হয়ে পড়ছে। অথচ প্রতিদিন প্রায় সহস্রাধিক যানবাহন এ দুটি সড়কে চলাচল করে। মালামাল পরিবহন ছাড়াও যাতায়াতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে রোগীবাহী প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্স। হাসপাতালে পৌঁছার আগেই অনেক সময় রোগীর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে।

    শমশেরনগর-মৌলভীবাজার সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কের বেহাল দশা হলেও সড়ক জনপথ বিভাগ এ দিকে কোনো নজরই দিচ্ছে না। রাস্তার চরম বেহাল অবস্তার সৃস্টি হলেও সংশিস্ট কৃর্তপক্ষেও কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। মনে হয় এই রাস্তা দুৃইটির কোন কৃর্তপক্ষ নেই। কমলগঞ্জবাসী দ্রুত গুরুত্বপুর্ন রাস্তা দুইটি মেরামত করার দাবী জানিয়েছেন।