কবরস্থান রক্ষায় প্রাণ দিতে প্রস্তুতঃজৈন্তাপুরে মানববন্ধন

    0
    259

    সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে ভূমি অধিগ্রহনের নকশা পরিবর্তন করে মসজিদ ও কবরস্থান রক্ষার দাবীতে এলাকাবাসীর বিশাল মানববন্ধন।

    রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধিঃ  জৈন্তাপুর উপজেলার সর্ববৃহত আসামপাড়া সামাজিক কবরস্থান রক্ষার দাবীতে জৈন্তাপুরে শান্তিপূর্ণ মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করে মৌজার সর্বস্থরের জনসাধারণ। ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১১টায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের আসামপাড়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় আসামপাড়া মসজিদ ও সামাজিক কবরস্থান পরিচালনা কমিটির ডাকে চাললেন ভূমি অধিগ্রহনের নকশা পরিবর্তন করে মসজিদ ও কবরস্থান রক্ষার দাবিতে জৈন্তাপুর উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ভাবে বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।

    এই সেই কবরস্থান।

    মানব বন্ধন কর্মসূচী চলাকালে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা সাইফুল ইসলাম বাবু পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী, ২নং জৈন্তাপুর ইউপি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিরন মেম্বার, বীর মুক্তিযোদ্ধা হরমুজ আলী, সাবেক জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজের অধক্ষ্য আবু সুফিয়ান বেলাল, ব্যবসায়ী নূর মিয়া, আব্দুল মতিন, সেলিম চৌধুরী, মস্তাক চৌধুরী, মহসিন মিয়া, ময়না ড্রাইভার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সহ সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম, আব্দুল মন্নান, শাহজাহান মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য কবির আহমদ, রহমত মেম্বর, কবির আহমদ, আফতাব ড্রাইভার, সাইফুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, মানিক মিয়া, ছাত্রনেতা মফিজুল ইসলাম, রফিক মিয়া, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
    বক্তারা বলেন- সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সর্ববৃহৎ সামাজিক কবরস্থান হল আসামপাড়া কবরস্থান। এই কবরস্থানে শায়িত আছেন বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম প্রায় ২০ জনের অধিক সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

    এছাড়া কবরস্থানে শায়িত রয়েছে একটি মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম গণকবর। স্বাধীনতার পূর্ব হতে এই কবরস্থান হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সম্প্রতি সরকার বাহাদূর জনসাধারনের চলাচলের এবং ব্যবসা বানিজ্য সুবিধার্থে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কটি চাললেন সড়কে উন্নিত করে। যার ফলে চারলেন মহাসড়কের পূরো নকশাটিতে আমাদের ঐহিত্যবাহী স্বাধীন যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত গণকবর সহ ২০মুক্তিযোদ্ধার অধিক মুক্তিযোদ্ধা সহ অত্রা লের ৮ মৌজার কয়েক লক্ষ্য মৃত ব্যক্তির কবরস্থানের উপর দিয়ে নকশা তৈরী করে ভূমি অধিগ্রহনের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। সরকারের উন্নয়ন কাজে আমাদের কোন বাঁধা নেই, আমরাও চাই সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক দ্রুত বাস্তবায়ন করা হউক।

    কিন্তু ঐহিত্যবাহী আসামপাড়া মসজিদ ও সামাজিক কবরস্থানের ভূমি বাদ দিয়ে রাস্তা বিপরীত পার্শ্বে অধিগ্রহন করার জন্য জোর দাবী জানাই। আমরা প্রাণ দিয়ে হলেও ঐতিহ্যবাহী কবরস্থানটি রক্ষার আজ এই শান্তিপূর্ণ মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করেছি। ইতোমধ্যে আমরা সিলেট জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেট, মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি মহোদয়ের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করেছি।

    আমাদের এই শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন পালন করে এটাই জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী মানবতার নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি গণকবন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের কবরস্থান রক্ষা করে চারলেন সড়ক নির্মাণ করা হউক। সামাজিক কবরস্থান রক্ষায় আমরা প্রাণ দিতে প্রস্তুত রয়েছি। আমরা কোন অবস্থায় কবরস্থানের উপর দিয়ে চারলেন সড়ক যেত দেব না।