কওমীর আবাসিক ছাত্ররা অহরহ যৌন হয়রানীর স্বীকার

    0
    689

    “সকল অভিবাবকদের সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সমাজ সচেতন নাগরিকগন” 

     

    গত রমযানের মাঝামাঝি এক নারীকে শহরের রাস্তায় বিমর্ষ অবস্থায় বসে থাকতে দেখে জিজ্ঞাসা করি তোমার কি হয়েছে রোজায় খুব বেশি কাহিল লাগছে নাকি এভাবে কেন বসে আছো ? জবাবে বলে উঠলেন “না গো ভাই ভিতরে  অনেক অশান্তি রোজা টোযা রাইক্ষ্যা কিতা অইত আমরার দেশের মিয়াছাবরা সেহেরি খাইয়া ফজর পইরা রোজা থাইক্ষা খারাপ কাম করে এরার কিচ্ছু অইনা আর আমার আবার একটা রোজা”!

    রুক্ষ জবাব শুনে ইচ্চা হলো আরও জানার, মনে হলো কিছু একটা হয়েছে কারণ তার একটা ছেলে কওমি মাদ্রাসায় পড়ে সেটা আমি জানতাম, যাই হোক, বিস্তারিত জানার চেষ্টা করে যা জানলাম আর তিনি যা আকারে ইঙ্গিতে বললেন তা খুবই বিব্রতকর ও লজ্জাজনক তার পরেও পাঠকের জানার জন্যে বলছি।

    সংক্ষেপে, “ওই নারীর ছেলে শ্রীমঙ্গল এলাকার একটি হাফেজি মাদ্রাসার ছাত্র তার মাদ্রাসায় সিলেট থাকে আসা এক কওমি হুজুর ছেলেটিকে খুব আদর করে নিজের ছেলে বলে দাবী করে। রমজান মাসে এক পর্যায়ে সেহরি খাওয়ার পর ফজরের নামাজ শেষে কিছু একটা করে … যা অন্য ছাত্ররা দেখে তার মায়ের কাছে ফোন করে জানান।পরে  তিনি (ওই নারী) সেখানে গেলে ওরা খুলে বিস্তারিত বলে এবং কারো কাছে বললে হুজুর ওদের মেরে ফেলবে তাই তারা ওদের নাম বলতে নিষেধ করে।কথা গুলো শুনে এর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললে মহিলা সাহস করতে পারেনি কারণ তার ছেলেকে নাকি ওরা ফ্রিতে লেখা পড়া করান যাক এ  ব্যাপারে পরবর্তি লেখায় বিস্তারিত জানাবো।আজ আপনাদেরকে একজন এডিশনাল এসপি (ক্রাইম) যিনি নেত্রকোনা জেলায় দায়িত্ব পালনরত রয়েছেন তার একটি স্ট্যাটাস জনস্বার্থে পাঠকের কল্যাণে নিম্নে হুবহু তুলে ধরিলাম।তিনি তার লেখায় একজন মানুষ গড়ার কারিগর সম্পর্কে কি লিখেছেন তা একটু পড়েই দেখেন।

    “কি লিখব আর কিভাবে লিখব, ভাষা পাচ্ছি না। তিনি একজন দাওরায়ে হাদীস,(সিলেট বালুরচর কওমী মাদ্রাসা হতে) মাওলানা, একজন বক্তা, একজন ইমাম, শুক্রবারে জুমআর নামাজের খতিব। মাওলানা(!!!) আবুল খায়ের বেলালী। শুক্রবারে তার বয়ান শুনার জন্য আধা ঘন্টা আগে মুসল্লীগণ এসে অপেক্ষা করেন মসজিদে। কেন্দুয়ার বাদেআঠারবাড়ি এলাকায় মা হাওয়া (আ:) কওমী মহিলা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক (মুহতামিম) যে মাদ্রাসায় রয়েছে প্রায় 35 জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রী যাদের 15 জন আবাসিক। সেখানে তিনিও আবাসিক। সময় সুযোগ বুঝে তিনি কলিংবেল চাপেন আর ওনার পছন্দমত একজন কোমলমতি ছাত্রীর ডাক পরে তার গা-হাত-পা টিপে দেবার জন্য। আর এক পর্যায়ে তিনি সেই অবুঝ শিশুদের উপর ঝাপিয়ে পরেন,(. . . . . ) এবং শেষে আবার কোরআন শরীফ হাতে দিয়ে শপথ করান কাউকে কিছু না বলার জন্য, বললে কিন্তু আল্লাহ তোমাকে দোযখের আগুনে পোড়াবেন। ভয়ে কোমলমতি ছাত্রীরা কাউকে কিছু বলেন না। কিন্তু আজ এক সাহসী বীরাঙ্গনা সেই ভয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হয়, বলে দেয় তার বড় বোন সহ বাড়ির সবাইকে সেই যন্ত্রনার মুহুর্ত গুলোর কথা। স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় আটক হন সেই হুজুররূপী ধর্ষক। থানায় আটক থাকা অবস্থাতেই আরো একজন শিশুশ্রেনীর ছাত্রীর অভিযোগ জমা পড়ে। দুইটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে তার নামে (কিছু অনলাইন পত্রিকায় ধর্ষণের চেষ্টার কথা বলা হয়েছে)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য পাই, গত একবছরে আরো মোট 6 জন ছাত্রীর সাথে তিনি অনুরূপ কুকর্ম করেছেন যাদের সবারই বয়স 8 থেকে 11 এর মধ্যে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু আলামত জব্দ করি সাথে সেই ”কলিংবেল” টি ও যা আদালতে উপস্থাপন করা হবে। হুজুরকে রিমান্ডে আনা হবে।”

    এই রকম অপরাধের কারণে কিছু লোকের মন্তব্য নিম্নে প্রকাশ করিলাম।

    মোহাম্মদ সবুজ আহমেদ  বলেন “কুওমীর হুজুররা আরো হাজার ছেলেদের সাথে সমকামীর খবর পাওয়া যাচ্ছে,তাদের কোন বিচার হয় না,তাই আজ এই অবস্তা,আপনার সন্তানকে কুওমী থেকে মুক্ত রাখুন,কুওমীরা ছেলে হলে বলৎকার আর মেয়ে পাইলে ধর্ষন।” 

    Chowdhury Ripan বলেন “আমাদের মেয়েরা এভাবে এগিয়ে আসলে অনেকেরই মুখোশ খুলে যাবে।” 

    Mohammad Abu Bakkar বলেন “এ বলাতকার বাহিনী মানুষ নয় এদের সরকারী স্বীকৃতি তুলে নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসন থেকে একটা সুপারিশমালা প্রেরণ করা হোক।”

    Jahangir Arun বলেন, “খোঁজ নিলে এদের প্রায় সবারই কাহিনী এক। কেউ ধরা পরে, কেউ ধরা না পরে ঘরে ঘরে মুরগীর রান খেয়ে বেড়ায়।”

    Mohammad Mostafa বলেন, “বদমায়েশকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক । এমন আরও অনেক হচ্চে । সব মহিলা মাদরাসা / School পুরুষ মুক্ত করা হোক” 

    উপরোক্ত বিষয়ে সকল অভিবাবকদের সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সমাজ সচেতন নাগরিকগন।