ওসমানী মেডিক্যালে ডাক্তার কর্তৃক ছাত্রিকে ধর্ষণের অভিযোগ

    0
    217

    “ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ভাল করে তদন্তের দাবী উঠেছে”

    সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ নানির সঙ্গে রাতে হাসপাতালে কাটানো এক  নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইন্টার্নী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। গত রোববার (১৫ জুলাই) মধ্যরাতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    পরে সোমবার (১৬ জুলাই) দুপুরে হাসপাতাল থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসককে পুলিশ আটক করে। স্কুলছাত্রীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ নানির সঙ্গে হাসপাতালে ছিল ওই শিক্ষার্থী। ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১৭ নম্বর বেডে ভর্তি ছিলেন ওই ছাত্রীর নানি।

    রবিবার রাতে ওই স্কুলছাত্রী ছাড়া আর কেউ রোগীর সাথে ছিল না বলে জানা যায়। রাতে ফাইল দেখার কথা বলে ইন্টার্ন চিকিৎসক মাক্কাম আহমদ মাহী ওই মেয়েটিকে একই ফ্লোরে নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে যায় এবং এবং ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ করে বলে মেয়েটি জানিয়েছে। সকালে বাবা-মা হাসপাতালে আসার পর স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা তার বাবা মা কে জানায়।

    ওই দিন সোমবার সকাল ৮টার দিকে মেয়ের বাবা-মা ওসমানী মেডিক্যালের পরিচালকের কাছে চিকিৎসক মাহীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এর পর হাসপাতালের চিকিৎসক, পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর স্বজনদের মধ্যে বৈঠক হয়। বেলা দেড়টা নাগাদ বৈঠক চলে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই মাহীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

    মাক্কাম আহমদ মাহীর বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়। তার বাবার নাম মোখলেসুর রহমান। তিনি ওসমানী মেডিক্যালের নাক, কান ও গলা বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক। ওই স্কুলছাত্রী তার পরিবারের সঙ্গে সিলেট মহানগরীতেই থাকে।

    জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম মাহবুবুল হক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা স্কুলছাত্রীর স্বজনদেরসহ চিকিৎসককে নিয়ে বসলে মেয়ের পক্ষ এবং ওই ইন্টার্নের পক্ষ থেকে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। মেয়ের পরিবারের আনা অভিযোগ মাহী আস্বীকার করেছেন। বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা না হওয়ায় মাহীকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। মেয়েটিকে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

    তিনি জানান,ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি হবে। এছাড়া সব ওয়ার্ডে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ফুটেজ সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

    তিনি আরও জানান, রবিবার রাতে মাহীর ডিউটি ছিল ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। আর ওই স্কুলছাত্রী তার নানীর সঙ্গে ছিল ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখান থেকে ডেকে নিয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

    সিলেট কোতোয়ালি থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম কাউসার দস্তগীর এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ‘ইন্টার্ন চিকিৎসক মাক্কাম আহমদ মাহীকে আটক করা হয়েছে।

    স্কুলছাত্রীকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

    এ নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে সিলেটের আনাছে কানাছে এবং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ভাল করে তদন্তের দাবী উঠেছে কেহ কেহ ছাত্রীর সাথে তার পূর্ব পরিচয় থাকতে পারে বলে সন্দেহ পোষণ করেন।