ওসমানীনগর থানার যৌতুকলোভীদের শিকার নবীগঞ্জের নাসিমা

    0
    566
    নূরুজ্জামান ফারুকী নবীগঞ্জ থেকেঃ স্বামীকে যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় সিলেটের ওসমানী নগর থানার তাহির পুরে যৌতুকলোভী শশুরবাড়ীর লোকজনের নির্যাতনের শিকার হয়ে নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের চাঁন পুর গ্রামের অসহায় ৩ সন্তানের জননী মৃত আপ্তাব আলীর মেয়ে মোছাঃ নাসিমা বেগমের পরিবারে নেমে এসেছে অমানবিক নির্যাতনের ষ্টিম রোলার৷ নির্যাতনের শিকার হয়ে নাসিমার ৩টি অবুঝ সন্তান নিয়ে বিগত দেড় বছরধরে পিত্রালয়ে বসবাস করছেন হতবাগিনী মা, তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
    তার সন্তানদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলেও আশংকা প্রকাশ করছেন তিনি৷ এঘটনায় যৌতুকের শিকার নাসিমা বেগম বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (কগ-৫) আদালতে যৌতুক নিরোধ আইন (সংশোধিত ২০১৮ইং) এর ৩ ধারায় তার স্বামী ওসমানী নগর থানার তাহির
    গ্রামের মৃত আঃ ছালামের পুত্র লেছু মিয়া(৪০) ও তার চাচাতো ভাই মৃত আব্দুল গনির পুত্র আবু বক্কর মিয়া(৪২) কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন, তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০০৯ইং সালের ৫ই ফেব্রুয়ারীতে তার বিবাহ হয় বর্তমানে তাদের সংসারে ২ ছেলে ও ১টি মেয়ে সন্তান রয়েছে৷ তার স্বামী একজন সহজ সরল প্রকৃতির লোক ও বাকপ্রতিবন্দ্বী ব্যক্তি৷২নং আসামী বক্কর মিয়া একজন প্রতারক, চরিত্রহীনও লম্পট প্রকৃতির লোক৷ বক্কর মিয়া তার স্বামীকে বিভিন্ন ভাবে কুপরামর্শ দিয়ে একপর্যায়ে টমটম গাড়ী কিনিয়া দেওয়ার প্রলুবদ্ধ করিয়া নাসিমার মা-ভাইদের কাছথেকে ১ লক্ষ টাকা যৌতুক বাবদ দেওয়ার জন্য তার স্বামীর মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ ও একাধিক বার নির্যাতন করেন৷
    উক্ত টাকা দেওয়া নাসিমার পরিবারের লোকজনের সামর্থ্য না থাকায় নাসিমার উপর নেমে আসে নানা নির্যাতন একপর্যায়ে নাসিমার স্বামী ও বক্কর মিয়ার মাধ্যমে ৪ঠা
    সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং সনে সন্তানদের নিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি তার পিত্রালয়ে চলে আসলে, টাকা দিতে না পারায় তাদেরকে নাসিমার পিত্রালয়ে ফেলে রেখে চলে যায় বক্করের প্ররোচনায়৷ এর পরথেকে আজবদী নাসিমা তার অবুঝ সন্তানদের নিয়ে তার মা-ভাইদের সাথেই আছেন৷ তার স্বামী বা তার শশুর বাড়ীর কেহই তাদের খোঁজ খবর নেননা৷এদিকে উক্ত ঘটনায মামলার প্রেক্ষিতে উল্লেখিত আসামীরা সম্প্রতি প্রায় মাসখানেক হাজতবাস করেন- এই মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন থাকায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে নাসিমার ভাই হামদু মিয়াকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্য বক্করের ভাই আকবর মিয়া ও আহমদ আলী হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখমী করলে, নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে পরবর্তীতে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে একই আদালতে পরবর্তীতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন নাসিমার ভাই বাদী হয়ে৷
    এঘটনায় নির্যাতনের শিকার নাসিমার পরিবারের লোকজন এখনো তাদের নানা হুমকি ধামকিতে আতংক দিনাতিপাত করছেন বলেও নাসিমা বেগম জানিয়েছেন৷ তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন৷