ওসমানীনগরে সরকারি কাবিখা বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

    0
    291

    আমারসিলেট24ডটকম,২৮জানুয়ারীঃ ওসমানীনগরে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি কাবিখা প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী গতকাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তাকে।

    জানা যায়, থানার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের অর্ন্তগত ৬নং ওয়ার্ডের গোয়ালাবাজার-সিকন্দরপুর পাকা সড়ক হইতে ভেরুখলা আমাদের গ্রামের দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে ভেরুখলা-সিকন্দরপুর রাস্তা পর্যন্ত উন্নয়নের জন্য মাটি ভরাট কাজে ২০১৩ সালে সরকারি কাবিখা বরাদ্দ দেওয়া হয়। (বরাদ্দের আনুমানিক বাজার মূল্য ২ লক্ষ ৫০হাজার টাকা)। উক্ত প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান বাবলু এ প্রকল্পের প্রজেক্ট চেয়ারম্যান ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে উক্ত ইউপি সদস্য ও একটি মহল মাত্র ৫০ হাজার টাকার মাটি ভরাট করে বাকী টাকা আত্মসাতের পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন। গ্রাম্য রাস্তার কাজে অনিয়মে ফুসে উঠেন এলাকাবাসী। তারা প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেন বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা।

    লিখিত অভিযোগে জানা যায়, থানার গোয়ালাবাজার-সিকন্দরপুর পাকা সড়ক হইতে ভেরুখলা আমাদের গ্রামের দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে ভেরুখলা-সিকন্দরপুর রাস্তা পর্যন্ত উন্নয়নের জন্য মাটি ভড়াট কাজে কাবিখা বরাদ্দের ৯ টন গম আসে। কাবিখা প্রকল্পের চেয়ারম্যান স্থানীয় গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুর রহমান বাবলু। গত ৪/৫ দিনধরে উক্ত রাস্তার একটি অংশে মাটি ভড়াট কাজ চলছে যাহা সড়কের অর্ধেকের কম অংশে।

    রাস্তার ভেরুখলা মোড়ে ছোট-বড় অনেক ভাংঙ্গা রয়েছে। কিছু জায়গায় রাস্তা জমিনের সাথে মিলে গেছে। সেখানে মাটি না দিয়ে ভাল জায়গায় মাটি ভরাটের কাজ করা হয়েছে। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, রাস্তা সম্পন্ন কাজ না করে প্রায় অর্ধ কিলোমিটর রাস্তায় কাজ করা হয়েছে। এলাকার একটি মহল ও ওয়ার্ড সদস্য মিলে ৯টন কাবিখা বরাদ্দের সামান্য টাকা সড়ক উন্নয়নের কাজে ব্যয় করে, বাকী সব টাকা আত্মসাতের পায়তারা চলছে। সড়কের মধ্যে যে জায়গায় মাটি ভরাট করা হয়েছে তা শ্রমিক মুজুরী সর্বোচ্চ হবে ৫০ হাজার টাকা হবে।

    এলাকার কয়েছ মিয়া ও রাজন আহমদ বলেন, রাস্তায় মাটি ভরাটে ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান বাবলু অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। মাটি ভরাট কাজে থাকা শ্রমিকরা আমাদের জানিয়েছে মাত্র ৫০হাজার টাকা হবে। এদিকে রাস্তায় ঠিকমত মাটি ভরাট না করায় এলাকার মানুষের চরম ভোগান্তি হবে। এ ব্যাপারে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদন্ত সুদৃষ্টি কামনা করছি।

    ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও প্রকল্পের প্রজেক্ট চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, আমি এ রাস্তার কাজের কোন টাকা আত্মসাৎ করিনি।

    বালাগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ পাননি বলে দাবী করে বলেন, রাস্তা তদন্ত করে কাবিখা বরাদ্দের বিল দেওয়া হবে।

    বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাকুল রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তের জন্য উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান’র নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।