ওএমএস:উপকার করতে গিয়ে বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে না তো ?

    0
    237

    “মৌলভীবাজার ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রিতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দুরত্ব। ডিলার বলছে পুলিশ প্রশাসনের প্রয়োজন”

    আলী হোসেন রাজন,মৌলভীবাজারঃ মৌলভীবাজার ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রিতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দুরত্ব। রীতিমত ঘেঁষা ঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে কার আগে কে চাল নেবে সেই চেষ্টা। সংশ্লিষ্টরা বার বার বলার পরেও ব্যর্থ হচ্ছে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে।
    সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশের ন্যায় মৌলভীবাজারেও করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় ও খেটে খাওয়া জনগোষ্ঠীর জন্য ১০ টাকা কেজিতে (ওএমএস) চাল বিক্রিয় শুরু হয়েছে। শুরুতে‘ই মৌলভীবাজার পৌরসভার ৪টি স্থানে এই কার্যক্রম চলছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নাগরিকেরা তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) দেখিয়ে, নিজ নিজ মোবাইল ফোন নাম্বার ডিলারের খাতায় লিখে দিয়ে প্রতিজন ৫ কেজি করে চাল ক্রয় করছেন।
    এদিকে দেশের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ কার্যক্রম চলার কথা থাকলেও চাল নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো তা মানছেনা।
    মৌলভীবাজার পৌরসভার ৪টি স্থান সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেউ মানছেনা সামাজিক দুরত্ব বরং একে অন্যের সাথে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ১০ টাকা দরে চাল নিতে কার আগে কে যাবে সেই প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একাধিকবার নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও তা কেউ মানছেনা ।
    ১ নং ওয়ার্ডের ডিলার বদরুল আহমদ জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা খুব চেষ্টা করছি লোকজনকে দুরত্ব বজায় রেখে চাল দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা কোন ভাবেই মানছেনা। প্রশাসন এসে আমাকে বার বার কথা বলছে দুরত্ব বজায় রাখার জন্য,আমি নিজে দুজন মানুষ রেখেছি তাদের কথাও শুনে না।এখন দেখছি আমি নিজেই অস্স্থু হয়ে যাব,তাই কথা না শুনলে চাল বিক্রি করা বন্ধ করে দিব।এই দুরত্ব বজায় রাখার পরিবেশ তৈরী করতে পুলিশ প্রশাসনের প্রয়োজন।
    স্বাস্থ্য ঝুঁকি জেনেও আগে চাল পাওয়ার জন্য কেউ নিয়ম মানছেনা বলেও স্বীকার করেন চাল নিতে আসা এসব লোকজন। ১০ টাকার চাল নিতে লাইনে দাঁড়ানো মফিজ মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, করোনা ভাইরাস সর্ম্পকে আমি জানি কিন্তু আমি একজনে নিয়ম মানলে কি হবে অন্যরা‘ত মানছেনা। তাই আমিও বাদ্য হয়ে ঘেঁষা ঘেঁষি করে লাইনে দাঁড়িয়েছি।
    এব্যাপরে জেলা খাদ্য নিয়স্ত্রক বিপ্লব চন্দ্র দাস বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও লোকজন কোনভাবেই মানছেনা। কিছু সময়ের জন্য একটু ফাকা হলেও আবার একজন আরেকজনের সাথে লেগে যায়। মৌলভীবাজার পৌরসভার ৪টি ওয়ার্ডে ১০টাকা কেজি দরে ৫কেজি চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাকি ৫টি ওয়ার্ডের পর্যাক্রমে বিক্রি করা হবে।
    চাল নিতে আসা লোকজনের এমন ঘেঁষা ঘেঁষি দৃশ্য দেখে আতংকিত সচেতন মহল। তারা বলছেন অসহায় মানুষের প্রতি সরকারের এই সহযোগিতামূলক কাজে সামাজিক দুরত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করা না হলে হয়ত বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এই দৃশ্যে আতংকিত অনেকের মনে প্রশ্ন , উপকার করতে গিয়ে বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে না তো ?