এ দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছেঃখালেদা জিয়া

    0
    246

    আমারসিলেট24ডটকম,২৪ডিসেম্বরঃ বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, এ দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে, ফলে আমরা বারবার সংলাপের কথা বলেছি। আমরা সমঝোতার উদ্যোগ নেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকেও বলেছি। সরকারের অনঢ় মনোভাবের কারণে সংলাপ সফল হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকার পোড়ামাটি নীতি গ্রহণ করেছে বলেও অভিযোগ করেন।সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় খালেদা জিয়া গুলশানে তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন  এ কথা বলেন।

    সংবাদ সম্মেলন বেগম খালেদা জিয়া আরও বলেন, সারাদেশ থেকে ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রা ‘মার্চ ফর ডেমেক্রেসি’ সফল করুন। জেলায় উপজেলায় সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা কমিটি গঠণ করুন। সারাদেশ থেকে দলমত নির্বিশেষে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করুন। ঐদিন প্রহসনের নির্বাচনকে ‘না’ এবং গণতন্ত্রকে ‘হ্যা’ বলুন। আজ মঙ্গলবার তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুরু হওয়া সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। ঘোষিত ১০ম সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের দাবিতে পঞ্চম দফা টানা ৮৩ ঘন্টা অবরোধের পর আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জনাকীর্ণ এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
    সংবাদ সম্মেলনে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমান সরকার ভিনদেশী হানাদারদের মতো বিরোধী দল দমনে পোড়ামাটি নীতি অবলম্ব করছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন থাকেন যে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ একতরফা এই নির্বাচনে ১৫৪ আসনের ভোটারদের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। শুধু বিএনপি নেয়, দেশের অন্যান্য দলও এই নির্বাচন বর্জন করেছে। এটা ইলেকশন নয়, নির্লজ্জ সিলেকশন। জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে এই প্রতারণা জাতির ইতিহাসে কলঙ্ক হয়ে থাকবে।
    বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আমরা একটা প্রস্তাব রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছিলাম। কিন্তু তার দ্বারা তা রক্ষা সম্ভব হয়নি। জাতিসংঘের রাজনৈতিক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো উদ্যোগ নিয়েছিলেন কিন্তু সরকারের অনড় অবস্থানের কারণে তাও সফল হয়নি।
    তিনি বলেন, দেশে এখন কেবল রক্ত ঝরছে। ঘরে ঘরে কান্নার রোল। শহর-গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সবার মাঝে অনিশ্চয়তা। শুধু সরকার নির্বিকার। তাদের লক্ষ্য একটাই, ক্ষমতা কুক্ষিগত করা।
    বেগম জিয়া বলেন, জনগণ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে এটা তাদের অধিকার। এ অধিকার হরণ করে আসন ভাগাভাগির নামে প্রহসনের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যে ১৫৪ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত ঘোষণার অপচেষ্টা হচ্ছে, তা এ সরকারের চরম অনৈতিকতার বহিঃপ্রকাশ। এ সংসদ সদস্যরা অবৈধ। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি।
    সংলাপের নামে সরকার জনগণের সাথে প্রতারণা করছে অভিযোগ করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, সরকার আন্দোলন থামাতে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের হত্যা, নির্যাতন ও গুমের পথ বেছে নিয়েছে। আটক করে জেলহাজত ভরে ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী একদলীয় প্রহসনের নির্বাচনে বিশ্বাস করেন বলেই তিনি এ ব্যবস্থা করেছেন।
    তিনি বলেন, এদেশের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার আছে। জনগণের প্রতি মমতা আছে। আমরা সমঝোতার কথা বলেছি। শুধু তাই নয় সমঝোতার জন্য বারবার আহ্বানও জানিয়েছি। অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংসদেও প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু সরকার রাজি হয়নি।

    উল্লেখ্য,বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের পঞ্চম দফার ৮৩ ঘণ্টার অবরোধ শেষে এই সংবাদ সম্মেলন করছেন খালেদা জিয়া। “নির্দলীয়” সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে ১৮ দল।