এমপি বদির বেয়াই’র লাশ উদ্ধারঃবদির অস্বীকার

    0
    266

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৬মে,ডেস্ক নিউজঃ কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ির ২ নং ব্রীজ এলাকা থেকে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও পুলিশের তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলেন। শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    নিহত ব্যক্তির নাম আকতার কামাল (৪১)। তিনি টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য এবং একই এলাকার মৃত নজির হোসেনের ছেলে।

    টেকনাফের সাবরাং ইউপি’র চেয়ার‌্যান নুর হোসেন জানান, নিহত আকতার কামাল উখিয়া-টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বড় বোন শামসুনাহারের দেবর।

    রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী সিকদার বলেন, ‘আজ ভোরে ইয়াবার লেনদেনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে মেরিন ড্রাইভ সড়কে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আকতার কামালের মরদেহ দেখতে পায়। এসময় সেখান থেকে ৩ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশিয় তৈরি এলজি এবং ৪ রাউন্ড কার্তুজ ও ৩টি খোসা উদ্ধার করা হয়।’

    টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত কুমার বড়ূয়া জানান, আকতার কামাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও পুলিশের তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় ৫ টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে দুটি ইয়াবা ও একটি মানবপাচার মামলা।

    কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।’

    অপরদিকে নিহত আক্তার কামালের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে এমপি বদি সাংবাদিকদের বলেন, উনি আমার বেয়াই না। আমার বড় বোনের নাম শামসুন্নাহার ঠিকই। কিন্তু তার দেবরের নাম আক্তার কামাল নয়, তার দেবরের নাম নুরু।

    তিনি আরও বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা উখিয়া ও টেকনাফে আমার নামে কারও কাছে কোনো অভিযোগ নেই। আমি সব সময়েই মাদকের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান পরিষ্কার করে বলেছি। এমনকি সংসদে দাঁড়িয়েও সে কথা বলেছি। এরপরে আর কোনো কথা থাকে না।

    এদিকে মেরিনড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির আইসি পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার ভোরে দরিয়ানগর ব্রিজ এলাকায় গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ টহলে যায়। এক পর্যায়ে সেখানে সড়কের পাশে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহের পাশে এক হাজার পিস ইয়াবা, একটি এলজি ও চার রাউন্ড গুলি পড়েছিল। পরে স্থানীয়রা এসে মরদেহটি এমপি বদির বেয়াই আক্তার কামালের বলে শনাক্ত করেন।