এবার সিলেট র‌্যাব-৯ এর দুর্গে করোনার হানা,পজিটিভ-১৩

    0
    295

    “এএসপি (টিম লিডার) করোনা রেসপন্স টিম, র‍্যাব-৯, এর সাহসী ও মানবিক উদ্যোগ”

    জহিরুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  এবার সিলেট র‌্যাব-৯ এর দুর্গে করোনার হানা, এতে ১৩ সদস্যের করোনা  পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় র‌্যাবের সিলেট ইউনিটের ১৩ সদস্যের করোনা শনাক্ত নিশ্চিত হয়েছে। করোনার ঝুঁকি থেকে যারা রাত দিন দেশের জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে ছুটে বেড়িয়েছে শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে অজপাড়া-গাঁ- এ  আজ তারা হানা মুক্ত নয়।

    এর আগে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ অনেকের করোনা শনাক্ত হলেও সিলেটে এই প্রথমবারে মত সিলেট র‌্যাব সদস্যদের করোনা শনাক্ত হলো। জানা গেছে শনাক্ত হওয়া বেশির ভাগেরই কোনো উপসর্গ নেই। বাকীদের হালকা জ্বর-সর্দি রয়েছে। গতকাল শুক্রবার ওসমানীর ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

    একইদিনে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসি আর ল্যাবে সমান সংখ্যক নমুনা পরীক্ষায় ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। র‌্যাব-০৯’র এএসপি (মিডিয়া) ওবাইন অফিসার এএসপি মো.আনোয়ার হোসেন শামীম বিষয়টি আমার সিলেট কে নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার আমাদের ১৬ জন সদস্যের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়।এর মধ্যে ১৩ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। তার মধ্যে আজকে আবার আরও বেশ ক’জনের নমুনা নেওয়া হয়েছে।

    নেটিজেনদের উদ্যেশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে Md. Anwar Hossan (Shamim Anwar) এএসপি (টিম লিডার) করোনা রেসপন্স টিম, র‍্যাব-৯,সিলেট থেকে জানান “এই ১৩ জনসহ ভবিষ্যতে পুরো র‍্যাব-৯ ব্যাটালিয়নে যত জন করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া যাবে, অফিসার হিসেবে তাদের দেখভালের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি আমি ও আমার টিম। শ্রীমঙ্গল অধ্যায় শেষে এখন থেকে সিলেটের ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টারে আমার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের ছোট্ট টিম পুরো র‍্যাব-৯ ব্যাটালিয়নের সকল করোনা আক্রান্ত রোগীর দেখাশোনা করা, হাসপাতালে ভর্তি করা, তাদের কাছে খাবার পৌঁছানো, ঔষধ-পথ্য গ্রহণ নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করব। যেহেতু সারাক্ষণ করোনা রোগীদের নিয়েই পড়ে থাকব, করোনা রোগীদের নিয়েই হবে ওঠাবসা, অলৌকিক কিছু না ঘটলে ধরেই নেওয়া যায়, আজ হোক বা দু-দিন পরে হোক, নিশ্চিত করোনা আক্রান্ত হবার রাস্তাতেই পা রাখছি। সম্পূর্ণ বুঝেশুনে, সজ্ঞানে। যত গরম, আর অস্বস্তি লাগুক, পিপিই-ই হতে যাচ্ছে সারাদিনের একমাত্র পোশাক। আমার জানামতে, খাগড়াছড়ি জেলার উত্তর বড়বিল (সিংহপাড়া) গ্রামে জন্ম হবার পর এই নগণ্য মানুষটির জীবনে এমন মহান, বিরাট, গর্ব করার মতো কাজ করার সুযোগ কখনোই আসেনি। আলহামদুলিল্লাহ, আমি সেই সুযোগ দুই হাত ভরে গ্রহণ করছি।”