এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী (?)’র আস্ফালন ও কিছু কথা

    3
    1504

    “জনৈক এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী (?)’র আস্ফালন “নামাযের মধ্যে নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেয়ালও করা যাবে না “নাউজুবিল্লাহ”

    আমারসিলেট24ডটকম,৩০মার্চঃ গত ১১ই মার্চ ২০১৪ইং তারিখে চুনারুঘাটের আমরোডস্থ ঘনশ্যামপুর লতিফিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় স্থানীয় ইকবাল মিয়াছাবের তত্ত্বাবধানে এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এক প্রশ্নের জবাবে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী (?) জখিরায়ে কারামত কিতাবের উদ্ধৃতি টেনে বলেন ‘নামাযের মধ্যে কোন পীর আউলিয়া এমনকি আল্লাহর পরে যে নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্থান সে নূরনবীর খেয়ালও করা যাবে না’। (ঘনশ্যামপুরে আব্বাসীর ওয়াজের ক্যাসেট) এনায়েত উল্লাহ উপরোক্ত আকিদা পোষণকারী সৈয়দ আহমদ বেরলভী ও কারামত আলী জৈনপুরীকে ওহাবি প্রমাণ করতে পারলে দশ লক্ষ টাকার চ্যালেঞ্জ প্রদান করে। তাচ্ছিল্লের ভাষায় আল্লামা সিরাজনগরীকে গালমন্দ করেন। পরের দিন ১২ই মার্চ ২০১৪ইং তারিখ স্থানীয় ময়নাবাদ হাফিজিয়া মাদ্রাসার বিশাল সুন্নি মহা সম্মেলনে সুলতানুল মুনাজিরীন ওয়াল মুকাররাবীন সিরাজনগরী হুজুর কিবলা ১১ লক্ষ ১১ হাজার ১ শত ১১ টাকার ঘোষণায় এনায়েত উল্লাহর বাহাসের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। সে মতে স্থানীয় সুন্নি জনতার পক্ষে জনাব মহিউদ্দিন আখঞ্জী ও মাও: উমর ফারুক ইকবাল মিয়াছাবের চুনারুঘাটের বাসায় যান। তারা বাহাসের বিষয়ে আলোচনা করেন। ইকবাল মিয়াছাব জানান যে, ২০ মার্চ ২০১৪ইং তারিখে এনায়েত উল্লাহ সাহেব মাধবপুরের হোটেল আল আমীনে আসবেন। আপনারা বাহাসের তারিখ আনার জন্য সেখানে যাবেন এবং আমিও যাব। জবাবে মহিউদ্দিন আখঞ্জী বলেন চ্যালেঞ্জ হয়েছে ঘনশ্যামপুরে, চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা হয়েছে ময়নাবাদে। আমরা আল আমীন হোটেলে যাব কেন? আপনি বরং বাহাসের পরিবেশ করুন। ইকবাল মিয়াছাব ২০ মার্চ ২০১৪ইং তারিখে গুরুজনের সাথে দেখা করার জন্য হোটেল আল আমীনে যান। ইকবাল মিয়াছাবের উপস্থিতিতে হোটেল আল আমীনে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী (?) প্রশ্ন করেন। কই? সিরাজনগরী বা তার প্রতিনিধি দল কোথায়? তারা আসল না কেন? অথচ ইকবাল মিয়াছাব একটি বারের জন্যও সত্য কথাটি বললেন না যে, সিরাজনগরী বা তার প্রতিনিধি কেউ হোটেল আল আমীনে আসার কথা ছিল না! ইতোমধ্যে বাহাসের যারা মধ্যস্ততা করেছেন তারাও বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন যে, সিরাজনগরী বা তাঁর পক্ষে কেউ হোটেল আল আমীনে যাওয়ার কথা ছিল না। অথচ এনায়েত উল্লাহ (?) সিরাজনগরী বা তার কেউ আসল না কেন? এ প্রশ্নটাকেই বাহাদুরীর মাধ্যম হিসেবে অবলম্বন করে ‘বাঘ নাই বনে শিয়াল রাজা’র হাস্যকর মূর্তি ধারণ করেন। বলতে থাকেন সিরাজনগরী আসবেন না। ১৯৯৮ইং সনে সিরাজনগরীর পীর ভাই বাহাদুর শাহ পালিয়ে গিয়েছিল। সিরাজনগীর সাথে আমি বাহাস করতে হবে না। আমার ডিম সেখানে থাকবে আমিও থাকব। আমরা আহমদ রেজাখাঁন ও সিরাজনগরীকে কাফের বলব। সিরাজনগরীকে মুসলমান বানাব। আপনারা তাকে ছাড়বেন না। সে বাহাস করতে হবে। নয়তো তার জিহ্বা কেটে দেয়া হবে। আমি হব দ্বিতীয় পক্ষ। সে হবে প্রথম পক্ষ। আমি আমুরোডী পীরছাবকে (মাও: ইকবাল মিয়াছাব) আমার পক্ষে দায়িত্ব দিলাম।

    হোটেল আল আমীনে বাহাদুর (?) এনায়েত উল্লাহর ১২ মিনিটের বক্তব্যের ক্যাসেটে যা স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়ল, তা হল নিম্নরূপঃ-

    ১.আমরা আগে জানতাম হাঁস-মুরগি, পাখি ও কচ্ছপ ডিম পারে। এখন বুঝলাম বিতর্কিত এনায়েত উল্লাহও ডিম পারেন। সেই ডিমের সাথে সিরাজনগরী বাহাসে পারবেন না। স্বঘোষিত আব্বাসী এনায়েত উল্লাহর ডিমের কি তিলিসমাতি!!

    ২.আব্বাসী (?) বাহাসের দ্বিতীয় পক্ষ হতে চান। অথচ প্রথম বাহাসের চ্যালেঞ্জ দিলেন এনায়েত উল্লাহ নিজে। নিয়ম এবং সামাজিক বিধান বলে তিনিই হবে ১ম পক্ষ। আর বাহাসের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন আল্লামা সিরাজনগরী। বিধান বলে সিরাজনগরী হবেন দ্বিতীয় পক্ষ। কিন্তু ক্যাসেটে শুনা যায় আব্বাসী (?) দ্বিতীয় পক্ষ হতে চান। কিসের ভয়ে? থলের বিড়াল বের হওয়ার সমূহ সম্ভবনা নয় তো? নার্ভ চিড়ে যাওয়ার সম্ভাবনায় নিজেই ঘোরপাক খাচ্ছেন?

    ৩.এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী (?) সিরাজনগরীকে না ছাড়বার জন্য নিজ ভক্তদের নির্দেশ দিলেন। বাহাসের জন্য জোড় তাগিদ দিলেন। আলা হযরত ও সিরাজনগরীকে কাফের বলেন।

    তাই আমরা দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বলি এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর জন্মে কোন সমস্যা না থাকলে, আলা হযরত ও সিরাজনগরী কেন কাফের? নামাযে কেন রাসূলের খেয়াল করা যাবে না? ইত্যকার যে কথাগুলো আব্বাসী (?) ঘনশ্যমপুরের মাহফিলে বলেছে এবং হোটেল আল আমীনে যে লম্প ঝম্প দেখিয়েছে? কেন দেখিয়েছে? তার কারণ লিখে নিজে দস্তখত দিয়ে প্রথম পক্ষ হিসেবে চ্যালেঞ্জটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সভাপতি আবুল হোসেন আকল মিয়া সাহেবের কাছে পৌঁছাক। সিরাজনগরী দ্বিতীয় পক্ষ হিসেবে তাঁর মতামতসহ ঐ কাগজে স্বাক্ষর করে দিবেন। অতঃপর মুরুব্বিগণ বসে দিন তারিখসহ বাহাসের চুড়ান্ত বিষয় ও স্থান নির্ধারণ করবেন।

    প্রিয় পাঠক, এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী (?) নামাযের মধ্যে নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেয়ালও করা যাবে না বলেÑ যে আকিদা উদগীরণ করেছে, এমনি উক্তির জন্য আজ থেকে ৩০ বৎসর পূর্বে ঐ এলাকায়ই ‘কিরতাই’ মাদ্রাসাকে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল। ৩০ বৎসর পর আজ আবার মিলাদ কিয়ামের চদ্মাবরণে এনায়েত উল্লাহ সে ওহাবি আকিদাটিই জনগণের সামনে উদগীরন করে নবী প্রেমিকদের অন্তরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আবার পত্রিকার মাধ্যেমে ডাহা মিথ্যা লম্প ঝম্প করছে। একবার বলছে‘তারিখ নিতে আসল না শ্রীমঙ্গলের পীর’ আরেক পত্রিকায় প্রকাশ করছেÑ ‘বাহাস অনুষ্ঠিত হল না’। কোনদিন তারিখ হল? কোথায় তারিখ নেয়ার কথা ছিল? কোনটার-ই কোন হদিস নাই, যেখানে সেখানে পরস্পর বিরোধী সংবাদ প্রকাশ এবং প্রচার করাটা কার জন্য মানায়? লম্পটেরও একটা সীমা থাকা উচিত।

    আমরা জন্মসূত্রে বাঙালী। ভারাটিয়া নাগরিক নই। নবী প্রেমিকদের ঈমানী জগতে কোঠারাঘাত করে আবার ‘ওয়ালায় গীরি খেদায়’ ধরনের আচরনে ওদের প্রতি করুনা হয় পত্রিকায় প্রকাশিত লম্প ঝম্প দেখে।

    বিজ্ঞ পাঠক! ঈমান চুরি হয়েছে ঘনশ্যামপুরে আমরা কি ছাতা ধরব ভারতের কোন ভারাটিয়ার মাথায়? কোথায় কাকে পাওয়া যায়? তাই সুনির্দিষ্টভাবে সুনির্দিষ্ট স্থান দেখিয়ে বাহাদুরদেরকে আহ্বান করছি নীতি মোতাবেক বাহাস অনুষ্ঠানের পরিবেশে আসুন। নতুবা আব্বাসীর বুলা বাসিডিমের ঈমান বিধ্বংসী দুর্গন্ধে নবীপ্রেমিকদের বিস্ফোরণে নবী বিদ্বেষীরা খড়-কোটার মত ভেসে যেতে হবে কালের প্রবাহে।প্রেস বিজ্ঞপ্তি

                                                            চ