এতো কষ্টের উপার্জন করা টাকা সবই প্রতারকের পেটে

    0
    251

    “সুনামগঞ্জে জালিয়াতি করে ৩০লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এক প্রবাসীর  আহাজারি”

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জে সরকারি জমি বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আনুমানিক ত্রিশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতারনার শিকার ধর্মপাশা উপজেলার মাহমুদ নগর গ্রামের উজ্জল মিয়া ও তার ছেলে মোঃ হিরা।
    জানা যায়,নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়কাশিয়া গ্রামের উজ্জল মিয়াকে ধর্মপাশা উপজেলার ধানকুনিয়া হাওরের ৬.২১ একর খাস জমি বন্দোবস্ত করে দেয়ার নামে প্রায় ২বছর আগে বিভিন্ন কিস্তিতে ৩০লক্ষ টাকা দেন তার সম্পর্কে ভাতিজি জামাই গাফপার চৌধুরী (ওরফে অপু) কে। কিন্তু জমি বন্দোবস্ত দেয়ার নামে গাফপার চৌধুরী নামক ব্যক্তির নেতৃত্বাধীন একটি জালিয়াতি চক্র বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কাগজপত্র,সোনালী ব্যাংকের চালান ও পে-অর্ডারের কপি নকল করে এই অপকর্ম করে।
    উজ্জ্বল মিয়া জনান,ধর্মপাশা উপজেলাধীন মাহমুদ নগর মৌজার ৬.২১ একর োভূমি বন্দোবস্ত নিয়ে দিবেন মর্মে প্রতিশ্রুতি দেন। সে প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের জাল কাগজপত্র ও সোনালী ব্যাংকের চালানের নকল কপি দেখিয়ে গাফপার চৌধুরী (ওরফে অপু) তার কাছ থেকে গত ২বছরে আনুমানিক ত্রিশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন।
    উজ্জল মিয়ার ছেলে মোঃ হিরা বলেন,আমি কয়েক বছর ধরে প্রবাসে থেকে টাকা রোজগাড় করেছি। আর সেই টাকা দিয়ে আমার বাবা জায়গা বন্দোবস্তর ব্যবস্থা করছে শুনে আমি খুশি হই। দেশে আসার পরে আজকে বুঝলাম আমার এতো কষ্টের উপার্জন করা টাকা সবই প্রতারকের পেটে।
    উজ্জ্বল মিয়া আরো বলেন, ১ জুলাই সোমবার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থাকার জন্য আমাকে বলে অপু।
    যথারিতী আমি আদালত প্রাঙ্গনে বসে থাকি। কিন্তু পরবর্তীতে অপু সকাল থেকে আর কোন যোগাযোগ না করা এবং মোবাইল বন্ধ করে দেয়ায় আমার সন্দেহ হয়। পরে আমি জেলা প্রশাসক এর সাথে দেখা করি। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে এসে অভিযোগ করলে জালিয়াতির বিষয়টি উদঘাটিত হয়।
    এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন,তদন্ত সাপেক্ষে আমরা এর ব্যবস্থা নিবো। জেলা প্রশাসক এ ধরনের জালিয়াতি কার্যক্রম থেকে সচেতন থাকার জন্য এবং কারো সাথে বিধি-বহির্ভূত লেনদেন থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন।