এখনো শুরু হয়নি বাঁধের কাজ,হতাশায় হাওরপাড়ের কৃষক

    0
    268

    বিপ্লব রায় শাল্লা: নিয়ম অনুযায়ী সময় অতিক্রম করছে, তবু সুনামগঞ্জের শাল্লায় শুরু হচ্ছে না পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ‘ফসল রক্ষা বাঁধ’ নির্মাণকাজ। প্রতি বছরই পিআইসি গঠনে সিন্ডিকেট থাকায় হাওরের বরাদ্দকৃত কোটি কোটি টাকার বাঁধ নির্মাণের কাজের নামে লুটপাঠের মহোৎসবে রয়েছে এই চক্রটি। সিন্ডিকেট চক্রের দ্বারা পিআইসি গঠন করে আর্থিক ফায়দা লুটছে উপজেলা কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটি। পিআইসি গঠন তালিকার বিরুদ্ধে কৃষকরা একাধিক অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো কার্যকরী ভূমিকা নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট বিভাগের গোপন সূত্রে জানা গেছে একই পরিবারে একাধিক পিআইসি, আবেদিত প্রকৃত কৃষকদের বাদ দিয়ে হাওরে জমি নেই ব্যক্তিদের নিয়ে পিআইসি গঠন ছাড়াও দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাল্লা উপজেলার উপ সহকারি প্রকৌশলী সমসের আলী মন্টু সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে পিআইসি গঠন করতেই হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।
    ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের মাধ্যমে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু ও আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওই কাজ শেষ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু রোববার (২২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু না হওয়ায় এখানকার বোরো ফসল অকালবন্যার হুমকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা। শাল্লায় পাউবো কর্তৃপক্ষের দাবি, হাওরের পানি ধীরগতিতে নামায় কাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় অনেকেই বলছেন, হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ করার উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই। সরেজমিনে দেখা গেছে, হাওরা লে ইতোমধ্যে বোরো ধানের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। উপজেলার সকবক’টি হাওরে পানি সময়মতো কমেছে। কিন্তু এখনো বাঁধের কাজ শুরু না হওয়ায় কৃষকরা চিন্তায় রয়েছে তাদের বোরো ফসল অকালবন্যার হুমকিমুক্ত হবে কি না তা নিয়ে। এদিকে জেলা পাউবো জানিয়েছে, এবার শাল্লা উপজেলায় ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য ২৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
    অপরদিকে সময়মতো হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু না হওয়ায় হতাশায় রয়েছেন হাওরপাড়ের কৃষক। তারা জানান, দু,তিন বছর পর পর হাওরে ফসল ডুবির ঘটনা ঘটে। গত,দুবছর ধরে হাওর তলিয়ে না গেলেও এবছর বন্যায় হাওর তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই সময় মত বাঁধের কাজ শেষ না হলে সরকারে প্রচেষ্টা ও বরাদ্দকৃত কোটি কোটি টাকা ভেস্থে যাবে।
    শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মোক্তাদির হোসেন জানান, ১৮ ডিসেম্বর আমরা পিআইসি কমিটি গঠন দেখিয়ে দিয়েছি। তবে দেরিতে কাজ শুরু করার মুল কারন হচ্ছে এলাকা দুর্গম হওয়ায় হাওরের পানি এখনো নামেনি। তাই হাওরে পানি শুকিয়ে গেলে কিছু দিনের মধ্যেই ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করা হবে। তবে পিআইসি কমিটি গঠনে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।