একের পর এক ঘটছে খুনের ঘটনা শান্তির শহর সুনামগঞ্জে

    0
    411

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৮ফেব্রুয়ারি,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  সমগ্র বাংলাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জের জনগনের মৌলিক ৫টি অধিকার নিয়ে যে রাজনীতি চর্চা হবার কথা ছিল তার পরিবর্তে স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত উন্নয়ন হয়েছে।

    সাথে সাথে জন্ম হয়েছে সন্ত্রাস,খুন,রাহাজানী,দূর্নীতি,চোরাচালানী,ধর্ষন,ইফটিজিংসহ বিভিন্ন অপর্কম। এসব ঘটনায় আইন শৃংখলা রক্ষায়কারী বাহিনী পুলিশ,র‌্যাব গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়ায় কমলেও জেলার প্রত্যন্ত ও শহর কেন্দ্রিক এলাকা গুলোতে ঘটছে একের পর এক এই খুনের ঘটনা। ঘটছে নানান ইস্যুকে কেন্দ্র করে।

    জানা যায়,জেলায় এসব খুনের ঘটনায় কোন রাজনৈতিক ইস্যু না থাকলেও বেশির ভাগ ঘটছে জেলার হাওরা লের বিশাল জলমহল দখল,এলাকায় আধিপাত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে। এর মূলেও পরোক্ষ ভাবে রয়েছে দলীয় কোন্দল ও দলীয় সমর্থন। ফলে দিন দিন আতœংকি হয়ে উঠছে সমৃদ্ধি ও শান্তির শহর সুনামগঞ্জ জেলায় বসবাসকারী জনসাধারন। জেলার থানা গুলোতে পুলিশ প্রতিদিন বিশেষ অভিযান পরিচালিত করছে। অধিকাংশ ঘটনার সাথে জরিত অপরাধীদের ধরতে ও আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে।

    যারা এখনো ধরাচোঁয়ার বাহিরে আছে তাদের আইনের আওতায় আনার সবোর্”চ চেষ্টা করছে। তার পরও জেলার ১১টি উপজেলায় দেড় বছরের ব্যবধানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘঠেছে ২শতাধিক এতে নিহত হয়েছে ৭৪জন আর আহত হয়েছে ৩শতাধিক। গত বছরের ২০১৬ইং জানুয়ারী থেকে ২৫ফ্রেরুয়ারী ২০১৮ইং পর্যন্ত পৃথক পৃথক সংঘর্ষে ১১টি উপজেলা গুলো হল,জেলার তাহিরপুর উপজেলায় ৬জন,সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন ৫জন,দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলায় ৮জন,বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ৫জন, ধর্মপাশা উপজেলায় ৩জন,শাল্লা উপজেলায় ৩জন,জগন্নাথপুর উপজেলায় ৩জন,দোয়ারা বাজার উপজেলায় ১২জন,ছাতক কে সব চেয়ে বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে ১৯জন এবং মধ্যনগড় থানায় ৩জন,সর্বশেষ ২৫ফ্রেরুয়ারী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা এক মহিলা সহ দিরাই উপজেলার ৭জন নিহত হয়েছে।

    সুনামগঞ্জের সচেতন মহল মনে করেন,বেশির ভাগ জলমহল দখল ও এলাকায় আধিপাত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে এজেলায়। যে হাড়ে আমাদের জেলায় খুনের পরিমান বাড়ছে। আমাদের পরস্পরের প্রতি পরম্পরের মায়া-মমতা,সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়,ধর্মীয় কার্য্যাবলী থেকেও আমরা অনেক দূরে চলে যাওয়া,শুধু নিজেদের ক্ষমতা ও ধাম্ভীকতা দেখার বার জন্য কোন সামন্য ঘটনাকে সাথে সাথে সমঝোতার মাধ্যমে শেষ না করার ফলে খুনের ঘটনা ঘটছে। যারা নিহত হয়েছে তাদের পরিবার যানে তারা কি পরিমান ক্ষতির শিকার হয়েছে। এই খুনাখুনির পথ থেকে বের হয়ে আমাদের সবাইকেই ঐক্যবদ্ধ হয়েই আগামী প্রজন্মের জন্য এর সঠিক সমাধান করতে হবে।

    তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন,আইনশৃংখলা বাহিনী ও সমাজের গুরুত্বপূর্ন ব্যাক্তিগন নিজ নিজ এলাকায় সংর্ঘষের ঘটনা ঘটার পূবেই জানার চেষ্টা ও প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে। এবং রাজনৈতিক নেতা,ব্যবসায়ী ও নানান শ্রেনী পেশার মানুষসহ সবাই ঐক্য বদ্ধ হলে সুনামগঞ্জে শান্তি আর সম্পৃতির বন্ধনের মধ্য দিয়ে একটি উন্নত জেলা হিসাবে নিজের অবস্থান সৃষ্টি করতে পারবে আর খুনাখুনির ঘটনা বন্ধ হবে।

    তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি ধর জানান,আমার এলাকায় জনসাধারনের নিরাপত্তার জন্য যে কোন অপ্রতিকর ঘটনা প্রতিরোধ করতে ও শুশৃংখল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আমি সহ প্রতিটি পুলিশ সদস্য নিয়ে নিরলশ ভাবে নিষ্টার সাথে কাজ করছি।

    এছাড়াও সবার সাথে যোগাযোগ করেই যে কোন ধরনের দূঘটনা ঘটার আগেই জানার চেষ্টা করছি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সাথে জরিতদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তির চেষ্টা করেছি এবং করছি। সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খান জানান,