একুশের প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

    0
    300

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২১ফেব্রুয়ারিঃ একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি আলহাজ্জ মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    রাত ১২টা ১টি মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ বাজানো হয়।

    এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পরে মন্ত্রিবর্গ ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় মন্ত্রিসভার সদস্যরা, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, কূটনীতিকবর্গ এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যদের নিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

    এরপর আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

    এসময় শহীদ মিনার বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছিল হাজার হাজার মানুষ।

    কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সঙ্গে সারা দেশের শহীদ মিনারগুলোতেও একুশের প্রথম প্রহর থেকে চলে শ্রদ্ধা নিবেদনের পালা।

    দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন।

    এর আগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মঙ্গলবার রাত ১১টা ৩০ মিনিটে মাইক দিয়ে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানটি বাজানোর পর আনোয়ার ইসলামের সঞ্চালনায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।

    অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মেজবা কামাল, রূপ চক্রবর্তী, দেবাশীষ কুন্ডু, সাব্বির আহমেদ, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ফাহমিদা ইয়াসমিনসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

    রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজপথ। রক্তের দামে এসেছিল বাংলার স্বীকৃতি আর তার সিঁড়ি বেয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।সুত্রঃ আমাদের সময়