একই মাদ্রাসায় পরপর ৪ ছাত্র বলাৎকার,অভিযুক্তরা পলাতক

    0
    195

    আমার সিলেট ফেনী ডেস্কঃ  ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মাদরাসাতু ওসমান (রা.) মাদরাসায় ফের ছাত্র বলাৎকারের ঘটনা ঘটেছে।শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে হোস্টেলে হিফজ বিভাগের ছাত্রকে বলাৎকার করেন মাদরাসার খাদেম নুর ইসলাম দরবেশ (৫৫)। এ ঘটনায় নির্যাতিত ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। এর আগে গত বছরের ১৫ আগস্ট একই মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল ফাত্তাহ বিন আমিনের বিরুদ্ধে তিন ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে সোনাগাজী থানায় মামলা হলে সে পালিয়ে যায়, অধ্যাবধি সে পলাতক রয়েছে।

    নির্যাতিত ছাত্র ও তার পরিবার জানায়, শুক্রবার দুপুরে ছাত্রটি সাইকেল চালিয়ে মাদরাসার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত খাদেম নুর ইসলাম দরবেশ তাকে ডেকে হোস্টেলে নিয়ে যায়। এসময় খাদেম ছাত্রটিকে বলাৎকার করেন। ছাত্রটি চিৎকার করলে খাদেম তাকে একশত টাকা হাতে দিয়ে কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেন। একপর্যায়ে ছাত্রটি কৌশলে মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে গিয়ে তার দাদাকে ঘটনাটি অবহিত করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রের পরিবার ও এলাকাবাসী মাদরাসায় যাওয়ার আগেই অভিযুক্ত নুর ইসলাম পালিয়ে যায়।

    ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে শনিবার দুপুরে সরেজমিনে মাদরাসায় গেলে অভিযুক্ত নুর ইসলামকে পাওয়া যায়নি। মাদরাসায় অবস্থানরত অন্য শিক্ষক ও কর্মচারীদের কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোন মন্তব্য না করে সটকে পড়েন।
    নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোস্টেলে অবস্থানরত একাধিক ছাত্র ঘটনাটি সত্য জানিয়ে বলেন, মাদরাসার কয়েকজন শিক্ষক এর আগেও ছাত্রদের বলাৎকার করেন। দুই একটি ঘটনা প্রকাশ পেলেও লোকলজ্জার ভয়ে অনেকে বলাৎকারের ঘটনা প্রকাশ করেননি।

    এদিকে অভিযুক্ত নুর ইসলাম দরবেশের গোয়ালিয়া গ্রামের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে প্রতিবেদক মুঠোফোনে তার কাছে ফোন করলে সে চট্টগ্রাম অবস্থান করছে বলে জানায়। ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সে নাতি হিসেবে মাদরাসা ছাত্রের সাথে মশকারী করেছে দাবি করে ঘটনাটি প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।

    মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা রুহুল আমিন জানায়, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার কারনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঈন উদ্দিন আহমদ জানায়, ঘটনার বিষয়ে তার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।হাজারিকা প্রতিদিন