উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সড়ক যেন মিনি পুকুর !

0
671
উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সড়ক যেন মিনি পুকুর !

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: এ যেন সড়কের মধ্যে মিনি পুকুর। সামান্য বৃষ্টি হলেই এখানে জমে যায় হাটু পানি। ফলে পথচারী ও যানবাহন চালকদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। নওগাঁর আত্রাই উপজেলা পরিষদের একেবারে নিকটেই দীর্ঘদিন থেকে সড়কের এ বেহাল দশা হয়ে থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই। 

আত্রাই-সিংড়া পাকা সড়কের সাহেবগঞ্জ নামক স্থানে পানি নিস্কাশনের প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের এ স্থানটি মিনি পুকুরে পরিণত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বৃষ্টির পানি ও ড্রেনের বাসা বাড়ির পানিতে একাকার হয়ে যায় এ স্থানটি। অল্পতেই পানি দুর্গন্ধ হয়ে যায়। ফলে পথচারী ও যানবাহন চালকরা দীর্ঘদিন থেকে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে নারী ও শিশু পথচারীরা পরেন চরম বিপাকে। আত্রাই-সিংড়া সড়ক একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। আত্রাই হতে সিংড়া হয়ে বগুড়া ও নাটোরের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের জন্য এ সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত সিএনজি, ভটভটি, অটোরিক্সা, ছোট বড় অনেক কার্গো, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন প্রকারের শত শত যানবাহন চলাচল করে। এ ছাড়াও উপজেলার পাঁচুপুর ও বিশা ইউনিয়নের সড়ক সংলগ্ন  প্রায় অর্ধশত গ্রামের লোকজনের যোগাযোগের একমাত্র নির্ভর এ সড়ক।

 সরেজমিনে বৃহস্পতিবার ১৯ আগস্ট ২০২১ দুপুরে গিয়ে এ সড়কের চিত্র দেখার পর স্থানীয়দের সাথে কথা হলে অটোগাড়ি চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এ সড়কের এ স্থানটির বেহাল অবস্থা হয়ে থাকলেও এর কোন সংস্কার না করায় আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে গাড়ি পারাপার করতে হয়।

পথচারী সাহেবগঞ্জ গ্রামের তাজরিন নামের এক মহিলা বলেন, বৃষ্টি হলেই এ জায়গাতে পানি জমে যায়। মেয়ে মানুষ হিসেবে আমরা এখানে পারাপার হতে খুবই বিড়ম্বনার শিকার হই। অনেক সময় আমাদের পরিধেয় বস্ত্র নোংড়া পানিতে নষ্ট হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম বলেন, সেখানে পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় এ দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। সাহেবগঞ্জ মরহুম গোলামের বাড়ি হতে পাথাইলঝাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে নদী পর্যন্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা করলে এলাকাবাসীর এ দুর্ভোগ লাঘব হবে।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আফছার আলী প্রাং বলেন, এখানে যাতে পানি জমে না থাকে এর জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হলে আর দুর্ভোগ থাকবে না।