উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন

    0
    316

    উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন
    উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন
    ঢাকা, ১৩ মে : ক্রমশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় মহাসেন মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ২২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে সমূদ্রবন্দরগুলোকে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বুলেটিনে এ হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকট সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
    নিম্নচাপ থেকে গত শনিবার সৃষ্ট এ ঘূর্ণিঝড়ের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্র বন্দর সমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।
    এতে আরও বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মহাসেন সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩০০ কিলো মিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
    যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী সাইক্লোনের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ মহাসেন মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ এবং সংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। দেশটির নৌ ও বিমান বাহিনীর যৌথ টাইফুন সতর্কতা কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬৬ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে।
    তৃতীয় শতকে শ্রীলঙ্কা শাসন করা রাজা মহাসেনের নামে এই ঝড়ের নামকরণ মহাসেন করেছে এস্কাপ (ইএসসিএপি) প্যানেল। তথ্য সংরক্ষণ ও বোঝানোর সুবিধার জন্য ঝড়গুলোর নাম আগেই ঠিক করে রাখা হয়।