ইন্ডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়, বৈঠকে অংশ নিতে গত রোববার সিঙ্গাপুরে পৌঁছান কিম জং-উন। এ সময় তিনি তার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় নিজস্ব ব্যবহার্য জিনিসপত্র নিয়ে সিঙ্গাপুরে আসেন।
এর মধ্য থেকে বাদ যায়নি টয়লেটও! বিমানে করে ভাসমান টয়লেট নিয়েই পৌঁছান কিম। বেশ কয়েকটি টয়লেটের মধ্যে একটি রয়েছে তার নিজের মার্সিডিজ গাড়ির ভেতরেও।
উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ডেইলি নর্থ-কোরিয়া ২০১৫ সালে এক প্রতিবেদনে জানায়, কিম জং-উনের ব্যক্তিগত ট্রেনেই শুধু তার বিশ্রাম কক্ষ আছে এমনটা নয়, বরং তিনি মাঝারি অথবা ছোট আকারের যে গাড়ি অথবা বিশেষ বাহনে ভ্রমণ করেন না কেন তার সবগুলোই নকশা করা হয় পাহাড়ি অথবা তুষারাবৃত পথেও চলাচলের উপযোগী করে।
উত্তর কোরিয়ার এই নেতার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। উত্তর কোরিয়ার গার্ড কমান্ডের সাবেক সদস্য লি ইয়ুন-কিওল বলেন, ‘পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করেন না কিম। বরং সফরের সময় তার আশপাশে সবসময় রাখা হয় ভাসমান টয়লেট।’ তিনি বলেন, ‘নেতার মল পরীক্ষা করলে তার শারীরিক অবস্থার তথ্য পাওয়া যেতে পারে। আর এই কারণে এসব বর্জ্য যেখানে সেখানে ফেলা হয় না।’