ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম গোল টেবিল বৈঠকে বক্তাদের প্রস্তাব

0
975
ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম গোল টেবিল বৈঠকে বক্তাদের প্রস্তাব

“নির্বাচন কমিশন গঠনে বিতর্ক না করে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও সার্চ কমিটিকে সহযোগীতা করা নাগরিক সমাজের দায়িত্ব”

আমার সিলেট ডেস্কঃ  একটি রাষ্ট্রের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নির্ভর করে গণতান্ত্রিক সরকারের উপর। আর গণতান্ত্রিক ও গ্রহণযোগ্য সরকার উপহার দিবে শক্তিশালী, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন। আগামী ২০২৩ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত ৩১টি পর্যবেক্ষক সংস্থার মোর্চা ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের উদ্যোগে অদ্য ৬ নভেম্বর, ২০২১ শনিবার সকাল ১১ ঘটিকায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, নসরুল হামিদ মিলনায়তনে “নিরপেক্ষ-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন, সার্চ কমিটির ভূমিকা ও নাগরিক প্রত্যাশা” শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন- নির্বাচন কমিশন যত বেশী নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী হবে ততবেশী নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। নির্বাচনকালে রাষ্ট্রের সকল নির্বাহী, প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের সকল প্রকার ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন করবে। এক্ষেত্রে সংবিধানের- ১২৬ অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে “নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে।” এক্ষেত্রে সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য যেমন একটি দক্ষ শক্তিশালী নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দরকার তেমনি নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমকে বেগবান ও গতিশীল করার জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, নির্বাচন কমিশনার ও প্রশাসনের ভেতরে একটি মেলবন্ধন থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনকালে তাদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে যেমন সরকারি দলের দায়িত্ব রয়েছে তেমনি সকল রাজনৈতিক দলেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমাদের চিরাচরিত নিয়ম পরাজিত হলেই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে দোষারোপ করা এবং নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা। যা গণতন্ত্র বিকাশে সহায়ক নয়।

ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ আবেদ আলীর সভাপতিত্বে, বুয়েটের প্রো-ভিসি ও ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খানের পরিচালনায় গোল টেবিল বৈঠকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন- সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, সাবেক সচিব উজ্জল বিকাশ দত্ত, সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ্যাড. খুরশীদ আলম খান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাড. আবুল হাশেম, একুশে পদক প্রাপ্ত সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাসগুপ্ত, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আহম্মেদ আবুল কালাম।

অনুষ্ঠানে আগামী ২০২২ সালে গঠিতব্য নির্বাচন কমিশনের কমিশনারদের নিয়োগ কিভাবে হবে এবং সার্চ কমিটি কাদের সমন্বয়ে গঠিত হতে পারে সে বিষয়ে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের প্রস্তাব:- (১) সার্চ কমিটি ৫ সদস্য হতে ৯ সদস্যে উন্নতি করা। (২) নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটিতে সাবেক জ্যৈষ্ঠতম প্রধান বিচারপতি, সাবেক সফল নির্বাচন কমিশনার, ধর্মীয় গুণাবলী সম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া। (৩) সার্চ কমিটির প্রতিনিধির বিষয়ে কমিটি গঠনপূর্বে অধিকতর তদন্ত করা। (৪) মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপকালে সার্চ কমিটির প্রতিনিধিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা। (৫) নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি কর্তৃক প্রস্তাবিত তালিকা মহামান্য রাষ্ট্রপতি সর্বাধিক অনুসন্ধান রিপোর্ট সমন্বয় করে সৎ গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ, বিচক্ষণ, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও পূর্বের কর্মকান্ড সর্বাধিক বিশ্লেষণ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দান করতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি