ইন্দোনেশিয়ায় নিহত ৪২০,আহত-৫৪০,বহু পর্যটক নিখোঁজ

    0
    223

    নিউজ ডেস্কঃ  ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে কমপক্ষে ৪২০ জনের অধিক প্রাণহানি ঘটেছে। এ ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছে ৫৪০ জনের ও বেশি লোকের। হতাহতের এ সংখ্যা বাড়তে পারে। শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার উপকূলীয় সুলাওয়াশি দ্বীপের পালু শহরে ৭.৫মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর গতকাল শনিবার সকালে প্রায় ১০ ফুট উচ্চতার সুনামি সৃষ্টি হয়।

    পালুর সাগরতীরে শুক্রবার এক বিচ ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের আগে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর থেকে ফেস্টিভ্যালে অংশ নিতে আসা কয়েক শ’ পর্যটক নিখোঁজ রয়েছেন। সুনামির পর কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। একই সঙ্গে পালুর কয়েকটি হাসপাতাল, হোটেল ও বিপণি বিতান ধসে গেছে। শহরটির বিদ্যুত ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বিদ্যুত না থাকায় উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ভূমিধসের ফলে পালুর প্রধান সড়ক বন্ধ রয়েছে।

    ফলে সময়মতো ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দফতরের মুখপাত্র সুতোপ পুরো নাগরোহো বলেন, সুনামির পর সমুদ্র তীরে অনেক মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঢেউ উঠে আসার সময় অনেকে দৌড়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। তিনি বলেন, সুনামি রাস্তায় গাড়ি, বাড়িঘর, কাঠের গুঁড়িসহ অন্যান্য কিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তবে কিছু লোক উঁচু গাছে উঠে নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছে।

    শনিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সুনামিতে হতাহতের এ খবর প্রকাশ করে এবং জানানো হয় যে হাসপাতালে তিল ধারণের জায়গা নেই। আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধারকর্মীদের উপদ্রুত এলাকায় যেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। খবর এএফপি ও বিবিসি ও সিএনএন।

    মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টার আগে ভূমিকম্পের এ ঘটনা ঘটে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ও পালু থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে। এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।

    ইন্দোনেশিয়ার এক মন্ত্রী সুত্রে জানা যায়, ভূমিকম্প ও সুনামিতে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। এতে উদ্ধার তৎপরতায় বিঘ্ন ঘটছে। এ ছাড়া পালু বিমানবন্দরের রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্প ও সুনামির ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।

    খবরে বলা হয়েছে, ঠিক ভূমিকম্পের কারণে নাকি সুনামির আঘাতে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বেশির ভাগ নিহত হয়েছে পালু শহরে। শহরের বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে এবং স্থানীয়রা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞের পরপরই শুক্রবার উুঁচ উঁচু ঢেউ এলাকাটিতে আছড়ে পড়ে।