আল্লামা আখতার রেযা ছিলেন মুসলিম উম্মাহর আলোকবর্তিকা

    0
    248

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শায়খুল আরবে ওয়াল আ’যম, জানশীনে মুফতিয়ে আ’যম হিন্দ, মাযহারে মিল্লাত, তাজুশ শরিয়্যাহ আল্লামা আখতার রেযা আল আযহারী (রহ.)’র স্মরণ সভা গতকাল ২৯ জুলাই রোববার সকালে আন্জুমানে রজভীয়া নূরীয়া বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের কার্যালয়ে পীরে তরিক্বত হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুহাম্মদ আবুল কাশেম নূরী (মু.জি.আ.)’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, কুরআন-হাদিস-ফিকহশাস্ত্র বিশারদ আ‘লা হযরত ইমাম আহমাদ রেযা খান (র.) এর প্রপৌত্র তাজুশ শরিয়্যাহ আল্লামা আখতার রেযা (রহ.) ছিলেন দিশেহারা মুসলিম উম্মাহর আলোকবর্তিকা।

    তিনি ইসলামের নামে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অশান্তি সৃষ্টিকারি বাতিল ফেরকার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে মুসলিম উম্মাহর ইমান আক্বিদা হেফাজত করেছেন। বিশেষ করে শান্তির ধর্ম ইসলামের সঠিক পথ ও মত তথা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতাদর্শ বাস্তবায়নে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। ইসলাম ও মুসলিম মিল্লাতের জন্য এই উপমহাদেশসহ সারা বিশ্বে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। পবিত্র কুরআন ও হাদিসের বিশারদ তাজুশ শরিয়্যাহ আল্লামা আখতার রেযা (রহ.) জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শনের যাবতীয় শাখায় ছিল অগাদ পান্ডিত্য।

    আন্জুমানে রজভীয়া নূরীয়া বাংলাদেশের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সচিব শায়ের মুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরীর স ালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন গর্জনীয়া রহমানিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা সহকারী অধ্যাপক আল্লামা জাহাঙ্গীর আলম রেজভী। তিনি বলেন, জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় শত শত গ্রন্থ রচনা করে এই উপমহাদেশে সাড়া ফেলে দেন তাজুশ শরিয়্যাহ আল্লামা আখতার রেযা (রহ.)। সকল ওলামায়ে কেরাম তাঁকে ওই যুগের দ্বিতীয় ইমাম আ’লা হযরত বলেই ডাকতেন।

    তিনি আ’লা হযরতের ৫৩ টি কিতাব আরবী ভাষায় অনুবাদ করে বিশ্বব্যাপী আ’লা হযরতকে তুলে ধরেন।

    উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন গহিরা এফ. কে. জামেউল উলুম কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুফাস্সির আল্লামা ইউনুস রেজভী। তিনি বলেন, তাজুশ শরিয়্যাহ আধ্যাত্মিক ক্ষমতাসম্পন্ন একজন আল্লাহর প্রকৃত ওলি ছিলেন। ইসলামের যে কোনো বিষয় নিয়ে তিনি সুন্দর করে কুরআন হাদিসের দলিল দিয়ে বুঝিয়ে দিতেন। তার সঙ্গে বাহাস তথা টেবিল টক করে ইসলামের বিষয়ে কেউ জিততে পারেননি। মুসলিম সমাজের সকল বিপদ মুহুর্তে আলোক বর্তিকা হিসেবে আবির্ভুত হন তিনি। প্রধান আলোচক ছিলেন কাটিরহাট মুফিদুল ইসলাম সিনিয়র মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক আল্লামা আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রেজভী। তিনি বলেন, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শনের যাবতীয় শাখায় পারদর্শী এ মহান ব্যক্তিত্ব ছিলেন জ্ঞানের এনসাইক্লোপিডিয়া।

    শাফায়াতের কান্ডারী রাসুলে পাক হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামার প্রতি অপরিশীম ভক্তি ও অনুরাগের নিদর্শনস্বরূপ তাজুশ শরিয়্যাহ আল্লামা আখতার রেযা আযহারী (রহ.) আরবি, ফারসি, উর্দূ ও হিন্দি ভাষার শব্দ মিশ্রনে না‘ত-ই রাসুল (দ.) রচনা করে অভাবনীয় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন।

    আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আন্জুমানে রজভীয়া নূরীয়া বাংলাদেশের মহাসচিব মাস্টার মুহাম্মদ আবুল হোসেন, হাজ্বী সৈয়দ মুহাম্মদ সেলিম, মাওলানা আব্দুল আলী, মোহাম্মদ মিয়া জুনায়েদ, মুহাম্মদ আবুল হাসান, আলহাজ্ব জহির আহমদ সওদাগর, আবু ছালেহ আঙ্গুর, মাওলানা আব্দুল কাদের রেজভী, মাওলানা মঈনুদ্দিন খাঁন মামুন, জাহেদুল হাসান রুবাইত, মাওলানা বেলাল উদ্দিন, হাফেজ আবুন নূর মুহাম্মদ হাস্সান নূরী, এস এম ইকবাল বাহার চৌধুরী, মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন সিদ্দিকী, মাওলানা ওসমান গণি, হাফেজ মুহাম্মদ শহিদ, মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, আবু গালেব মুহাম্মদ রায়হান নূরী, শায়ের মুহাম্মদ শাহাদাত, মুহাম্মদ জাহেদ, মুহাম্মদ জসিম, মুহাম্মদ ফয়সাল কাউসার, মুহাম্মদ আল আমীন, মুহাম্মদ ইব্রাহীম, মুহাম্মদ রাশেদ, মুহাম্মদ শাকিল, মুহাম্মদ বরাত প্রমূখ।

    উল্লেখ্য তিনি পীরে তরিক্বত হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুহাম্মদ আবুল কাশেম নূরী (মু,জি,আ)’র পীর সাহেব কেবলা।শেষে মিলাদ-কিয়াম, মুনাজাত এবং তাবারুকের মাধ্যমে স্মরণ সভা সমাপ্তি হয়।