আ’লীগের সভায় হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন ও পাল্টা সংবাদ সম্মেলন’র ঘোষণা

0
499
নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির নেতৃত্বে নড়াইলের কালিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় হামলার অভিযোগে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলুর সংবাদ সম্মেলন।

প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রদানে মোটা অংকের টাকা লেনদেনের অভিযোগ

নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির নেতৃত্বে নড়াইলের কালিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় হামলার অভিযোগে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলুর সংবাদ সম্মেলন।

অপরদিকে নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তি একই ঘটনায় রোববার ১৭ অক্টোবর বেলা ১১ টায় কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে পাল্টা এক সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন।

শনিবার ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজামউদ্দিন খান নিলু এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আজ রবিবার কালিয়া পৌর কমিউনিটি সেন্টারে কালিয়ার উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের নির্বাচন উপলক্ষ্যে বর্ধিত সভা আয়োজন করা হয়। সেখানে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোসসহ আমার যাওয়ার কথা ছিল। আমরা কালিয়ার ফেরি একসাথে পার হওয়ার পর উনাকে আর দেখতে না পেয়ে,  প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে আমাকে নিতে আসা কালিয়ার নেতা কর্মিদের সাথে রওনা দিলে, পথিমধ্যে খবর আসে,বর্ধিত সভার স্থানে এমপির নেতৃত্বে কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও কালিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ,সভাস্থল ভাংচুর এবং কর্মিদেরকে মারধর করছে।

এ সময় এমপির লোকেরা বাইরে ২-৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করে। আমি ঐ খবর পেয়ে  কালিয়া পৌরসভায় যায়, সেখানে থাকা আমাদের পক্ষের লোকজনকে শান্ত করি এবং জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে ঘটনার বিষয়ে জানাই। এর আগেই কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ কনি মিয়াকে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পায়।  আমরা এ বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে জানাবো। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই ।

এসময় জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্বপন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশিষ কুন্ডু মিটুল, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বাস মিনিবাস পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সরদার আলমগীর হোসেন আলম,নড়াইল পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মলয় কুমার কুন্ডু,জেলা আইনজীবী সমিতির সধারন সম্পাদক অ্যাডঃ মাহামুদুল হাসান কায়েচ, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা শেখ সালাউদ্দিন নান্না, হাফিজ খান মিলনসহ দলীয় নেতৃবন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষ্ণ পদ ঘোষ  ঘটনার সত্যতা  স্বীকার করে বলেন,  এমপি ও তার লোকজন ষড়যন্ত্র মুলক ভাবে তার ওপর হামলা ও সভা পন্ড করে দিয়েছে। তিনি দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছ থেকে কোনো অর্থ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।এ ঘটনায়  আমাদের ৪-৫ জন দলীয় কর্মি আহত হয়েছে। ভাংচুরে প্রায় -৪ থেকে ৫ লাখ টাকার মালমাল নষ্ট হয়েছে।

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বলেন, বৃষ্টির কারণে সভায় যেতে আমার দেরি হয়েছে, ঐ সময় ওখানে কি হয়েছে আমি জানি না। আর আমার আসার আগেই সাধারন সম্পাদক  সোহেব সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ কনি মিয়া বলেন, তিনি গোলমালের সত্যতা স্বীকার করলেও, গুলি বর্ষনের কথা অস্বীকার করেন এবং তার ফোন বন্ধের বিষয়ে বলেন,আমার ফোন বন্ধ ছিল না, গোলমালের সময় পড়ে গিয়েছিল।

এ ব্যাপারে নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তি বলেন, কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষ্ণ ঘোষ আ’লীগ দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছ থেকে মনোনয়ন দেবার কথা বলে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে। কিন্তু এসব প্রার্থীরা যখন জানতে পেরেছেন যে তারা মনোনয়ন পাচ্ছেন না তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বর্ধিত সভা পন্ড করে দিয়েছে। এখানে তিনি কারও সাথে কোনো প্রকার অসৌজন্যমূলক আচরণ করেননি।