আরাকান রাজ্য স্বাধীন করতে জিহাদ ঘোষণার আহ্বান

    0
    213

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৬সেপ্টেম্বর,ডেস্ক নিউজঃ   হেফাজতে ইসলাম ও দেশের ইসলামি দলগুলোর নেতারা মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য স্বাধীন করতে জিহাদ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন। রোহিঙ্গা সংকটের জন্য দায়ী করে মিয়ানমারের পতাকা ও দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চির প্রতীকী কফিনে আগুন দিয়েছে।

    গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বিক্ষোভ মিছিলে হেফাজত ও ইসলামি দলগুলোর নেতারা বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এ জিহাদ ঘোষণার আহ্বান জানান।

    তারা বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের জন্য দায়ী করে মিয়ানমারের পতাকা ও দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চির প্রতীকী কফিনে আগুন দিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। দলটির নেতাকর্মীরা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়ে এসে মিয়ানমারের পতাকা ও সু চির প্রতীকী কফিনে আগুন দেয়।

    ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির মওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য হতে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জাতিগত নিধনযজ্ঞের কারণে মিয়ানমার সরকারের নিন্দা করায় আমরা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্যের প্রতি অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তারা জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সব ধরনের কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করে রোহিঙ্গা মুসলমানদের তাদের পূর্বপুরুষের ভিটে-মাটিতে ফিরিয়ে নেওয়া এবং নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিতে বাধ্য করতে হবে।

    রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর অব্যাহত নির্যাতনের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বিক্ষোভ করেছে ধর্মভিত্তিক দল হেফাজতে ইসলাম। বিক্ষোভে হেফাজতের নেতাকর্মী ছাড়াও অনেক সাধারণ মানুষও অংশ নেন। হেফাজতের সমাবেশকে ঘিরে প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠে বায়তুল মোকাররম এলাকা।

    হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর আমির আল্লামা নূর হোসেন কাশেমী বলেন, সরকারের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করলে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা ত্রাণ পাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সবাইকে ত্রাণ বিতরণের সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ত্রাণ বিতরণে বাধা না দিয়ে যারা ত্রাণ দিতে চায় তাদের সুযোগ দিন। তা না হলে অনেকেই ত্রাণ পাবে না।

    হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ফেরাউনের সময় শিশুদের যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল, ঠিক সেভাবে আরাকানেও নির্যাতন করা হচ্ছে। আরাকানে সূচিকে ডুবিয়ে মারা হবে।

    হেফাজতের কর্মসূচিকে ঘিরে সংগঠনটির হাজার হাজার কর্মী নামাজের আগ থেকেই বায়তুল মোকাররম মজসিদে জড়ো হতে থাকেন। এছাড়া সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। মিছিলে অংশ নেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামীদি, যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সুলতান মহিউদ্দিন প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হুসাইন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মওলানা মাহফুজুর রহমান ও অফিস সম্পাদক মাওলানা আবুবকর সিদ্দিক প্রমুখ।আমাদের সময়।