আমিও টুঙ্গিপাড়ায় যেতে পারবো খুব দ্রুতঃশেখ হাসিনা

    0
    179

    খুলে দেওয়া হয়েছে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে। বৃহস্পতিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের পর শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন থেকে খুব দ্রুত টুঙ্গিপাড়া যেতে পারবো। এ মাসেই আমি টুঙ্গিপাড়া যাব। তখন এক্সপ্রেসওয়ে দেখা যাবে। এর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সকল মানুষের যোগাযোগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, এ ধরনের বড় বড় প্রকল্প আমাদের বাংলাদেশের মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করবে, এ ধরনের আধুনিক নির্মাণ হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার চিত্র পাল্টে যাবে।

    পদ্মাসেতুর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতুটাও কিন্তু একটা ভিন্নধর্মী সেতু। দেশে এই প্রথম দোতালা সেতু নির্মাণ হচ্ছে। এই সেতুর নিচ দিয়ে ট্রেন লাইন থাকবে আর ওপর দিয়ে গাড়ি যাবে। পদ্মা নদীর মতো একটা খরস্রোতা নদীতে কাজ করা খুবই দুরূহ ব্যাপার এবং এর নির্মাণ কাজটা করা বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ করছি। আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে এ ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করতে পারি এ বিশ্বাস আমাদের আছে এবং তা প্রমাণ করে দেখানো হলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে জাপান গিয়েছিলেন, তখন তিনি যমুনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কথা বলেন। জাপান সরকারকে এই সেতু নির্মাণ করার জন্য অনুরোধ করেন। জাপান সরকার এই সেতু ফিজিবিলিটি স্টাডি করে দেয়, যার ফলে আমরা বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ করতে পেরেছি। সেই সূত্র ধরে তখন তাদের বলেছিলাম আমরা যমুনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করেছি, এখন আমরা পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করতে চাই। সে হিসেবে জাপান পদ্মা সেতুর ফিজিবিলিটি স্টাডি করে।

    কিছুদিন পরেই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হয়ে যাবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যে করতে পারি, পদ্মা সেতুর মতো একটা অবকাঠামোই বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে দেবে। সারাবিশ্বে এই সেতু দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের লোক যাতায়াত করতে পারবে। এছাড়া আমিও টুঙ্গিপাড়ায় যেতে পারবো খুব দ্রুত। এক্সপ্রেস ওয়ে এবং পদ্মা সেতু দুটোই আমাদের নতুন চমক, এই এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো ট্রাফিক সিগনাল থাকবে না। একটানা গাড়ি চলে যেতে পারবে। আশপাশের এলাকার মানুষের জন্য দুই সাইডে আলাদা রোড করে দিয়েছি। তাদের আর হাইওয়েতে আসতে হবে না।

    ধীরগতি সম্পন্ন যানবাহন গুলো ওই রাস্তায় চলাচল করতে পারবে। আমি নিজে গিয়ে এই রাস্তা উদ্বোধন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওখানে গেলে অনেকগুলো উদ্বোধন পিছিয়ে পড়বে। তাছাড়া আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস করছি । আমরা বলেছিলাম এই বাংলাদেশ একদিন ডিজিটাল হবে। আজ সে কথা সত্য হয়েছে। ডিজিটালের মাধ্যমে আজ এই গণভবন থেকে সারাদেশে অনেকগুলো প্রকল্প আমরা উদ্বোধন করতে পারছি। এতে আমাদের সময় সাশ্রয় হচ্ছে।