আমাদের এখন ৯২ হাজার কোটি টাকা বেশি আছেঃঅর্থমন্ত্রী

    0
    229

    দেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আমাদের টাকার কোনো অভাব নেই। আমি আপনাদের বলছি টাকা থাকার একটা বেঞ্চমার্ক আছে। সেই বেঞ্চমার্কের ওপরে আমাদের এখন ৯২ হাজার কোটি টাকা বেশি আছে। এটা তো লুকোচুরি করার কোনো ব্যাপার না।

    বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মন্ত্রীর কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক জৌবিদা খেরুস আল্লাওয়া-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

    মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সরকারের অর্থের সংকট নেই। একটা নিউজ পেপার বলছে, এর বিপরীতে এরা কিছু বলবে না। আজকে আবার দেখলাম এরা এডিবি’র পজেটিভ রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছে। এটা দেখে আবার অবাক হয়ে গেলাম। তারা পজিটিভলি লিখেছে। আমি বলছি, আমাদের কোনো রকম টাকার অভাব নেই। যদি আপনারা কোথাও কোনো ব্যাংকে গিয়ে টাকা না পান, যদি এলসি স্যাটেলমেন্ট করতে না পারেন, যদি পেমেন্ট না করতে পারেন, তবে আমাকে এসে বলবেন।’

    তিনি বলেন, সরকার কোথায় টাকা খুঁজছে? সরকার টাকা খুঁজলে কোথা থেকে পাবে? সরকারের টাকা না থাকলে দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা আছে। আপনারা কেউ সরকারকে টাকা দেবেন?

    বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক জৌবিদা খেরুস আল্লাওয়া

    অর্থমন্ত্রী বলেন, টাকা তোলার রাস্তাটা কী? সেভিংস ইনস্ট্রুমেন্ট বিক্রি করতে হবে, না হলে আমেরিকা যা করে কোয়ান্টিটি বেইজিংয়ের নাম করে টাকা ছাঁপাতে হবে।

    পুঁজিবাজারে দরপতন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এটা উত্তরণে বিশ্বব্যাংক কাজ করছে। বন্ড মার্কেট ও ক্যাপিটাল মার্কেটে কাজ করছে। ব্যাংকিং খাতে যে পরামর্শ দেওয়ার দরকার, তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। আমরা এগুলো সংশোধনে কাজ করছি।

    মুস্তফা কামাল বলেন, আমি পুঁজিবাজার নিয়ে বসব। সেইদিন আপনারাও বসবেন। সেইদিন তারা যদি একটা প্রমাণ করতে পারে, সরকার তাদের পক্ষে ছিল না বা আমরা তাদের বিপক্ষে।

    মন্ত্রী এও বলেন, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে পজেটিভলি আলাপ করেছি। বিশ্বব্যাংক আরও ভালোভাবে উন্নয়ন কাজে সহায়তা করতে প্রস্তুত। তবে এটা নির্ভর করে আমাদের ক্যাপাসিটির ওপরে। আমাদের ক্যাপাসিটি আরও বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের আরও সামনে যেতে হবে।পার্সটুডে