আবারো লকডাউন মেয়াদ বৃদ্ধি পেল

0
642

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দেশে ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসের ব্যাপকতার উপর নির্ভর করে আরেক দফা লকডাউন’ বাড়লো আগামী ১৬ মে পর্যন্ত। আজ সোমবার (৩ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠক শেষে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন।

তবে ৬ মে থেকে জেলার মধ্যে গণপরিবহন চলবে। আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এছাড়া ট্রেন ও লঞ্চ বন্ধ থাকবে। সোমবার (৩ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এ কথা জানান। কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। পরে সাতদিন করে দু-দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৫ মে (বুধবার) মধ্যরাতে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রয়েছে। খোলা রয়েছে শিল্প-কারখানা। এছাড়া জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া যথারীতি সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। সীমিত পরিসরে ব্যাংকে লেনদেন করা যাচ্ছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “গতকাল মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটা মিটিং হয়েছে। সেখানে সুপারিশ করা হয়, আজকে সেই বিষয়ে ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত দিয়েছে- আজকে থেকে পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন, ম্যাজিস্ট্রেট ও অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তারা দেশের প্রত্যেকটি মার্কেট সুপারভাইস করবে। কোন মার্কেটে এতে লোক হয়তো কন্ট্রোল করা যাবে না কিন্তু মাস্ক ছাড়া যদি বেশি লোকজন ঘোরাফেরা করে প্রয়োজনে আমরা সেসব মার্কেট বন্ধ করে দেব। ক্লিয়ারলি এটা বলে দেয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, “দোকান-মালিক সমিতির সভাপতি ওনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। ওনারা নিজেরাও এটা সুপারভাইস করবেন।’ ‘বাইরে প্রচার করতে হচ্ছে যে, কোন অবস্থায় যদি স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপক ভায়োলেশন হয় তবে প্রয়োজন হলে আমরা ওই মার্কেট বন্ধ করে দেব।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আজকে সিদ্ধান্ত হয়েছে লকডাউন যেটা আছে সেটা ১৬ মে পর্যন্ত এভাবেই কন্টিনিউ করবে। ৬ মে থেকে গণপরিবহন জেলার মধ্যে চলাচল করতে পারবে। আন্তঃজেলা বাস চলাচল করতে পারবে না। ঢাকার বাস ঢাকার মধ্যে চলাচল করবে। এছাড়া লঞ্চ ও ট্রেন বন্ধ থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, ‘গণপরিবহন মালিকরা আমাদের কথা দিয়েছেন, কোনভাবেই গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করা হবে না। লঙ্ঘন করা হলে বন্ধ করে দেয়া হবে। সেই নির্দেশনাও দেয়া আছে। সেটা আমরা দেখব।’ ঈদ আগামী ১৪ মে শুক্রবার হতে পারে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোন বন্ধ দেয়া যাবে না। ঈদের ছুটি তিনদিন এর মধ্যে দুটি পড়েছে শুক্র ও শনিবার। শিল্পকারখানাও এই সময়ে বন্ধ দিতে পারবে না।’ সরকারি অফিস বন্ধ সেগুলোর বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত আছে কিনা- জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “যেগুলো যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে।”