আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ পদে জয় পেলো বাংলাদেশ

    1
    430

    আমারসিলেট24ডটকম,নভেম্বর আরও একটি বড় আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ পদে জয় পেলো বাংলাদেশ। অর্থাৎ ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল স্যাটেলাইট অর্গনাজেশনের (আইএমএসও) মহাপরিচালক পদে বাংলাদেশ জয়লাভ করেছে। লন্ডনের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় আইএমএসওর মহাপরিচালক পদে বৃহস্পতিবার নির্বাচন অুনষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চূড়ান্ত পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রার্থী ক্যাপ্টেন মঈন উদ্দিন আহমেদ ৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রোমানিয়ার প্রার্থী ৩৭ ভোট লাভ করেন। প্রসঙ্গত এ নির্বাচনে বাংলাদেশসহ ফ্রান্স, জার্মানী, ইতালী ও রোমানিয়ার প্রার্থীগণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বাংলাদেশের প্রার্থী ইউরোপের দেশগুলোর শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচনের প্রতিটি রাউন্ডে সর্বোচ্চ ভোট লাভ করেন। আজ শুক্রবার লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
    সাম্প্রতিক সময়ে কনভেনশন টু এলিমিনেট অল ফরমস অব ডিসক্রিমিনেশন এগিনেস্ট উইমেন (সিইডিএডব্লিউ) কমনওয়েলথ পার্লামেন্ট এসোসিয়েশন (সিপিএ), ইন্টার-পার্লামেন্টারী ইউনিয়ন (আইপিইউ) হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল (এইচ আর সি) এবং ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) কাউন্সিলে বাংলাদেশের জয় লাভের ধারাবাহিকতায় আইএমএমওর মহাপরিচালক পদে জয়লাভ হলো। প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক এ সংস্থার প্রধান হিসেবে বাংলাদেশের জয়লাভ বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক সাফল্য বলে হাইকমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
    ক্যাপ্টেন মঈন উদ্দিন আহমেদ ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে সাউথ মেরিন এন্ড টেকনিক্যাল কলেজ থেকে সার্টিফিকেট অব কমপিটেন্সি এজ মাষ্টার মেরিনার ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে ওয়ার্ল্ড মেরিন ইউনির্ভাসিটি থেকে মাস্টার অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে তিনি ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনে (আইএমও) যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি আইএমও মেরিটাইম সেফটি ডিভিশনে সিনিয়র টেকনিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
    আইএমএসও ইমমারস্যাট স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্যাটেলাইট যোগাযোগের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা প্রদান, গ্লোবাল মেরিটাইম ডিসট্রেস সেফটি সিস্টেম এবং লং রেঞ্জ আইডেন্টিফিকেশন এন্ড ট্রাকিং সিস্টেম অব শিপ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বর্তমানে ৯৯টি দেশ এ সংস্থার সদস্য রয়েছে।