আন্তর্জাতিক “আল কুদস দিবস” পালিত হচ্ছে,জানিনা অনেকেই

    0
    276

    পবিত্র জুমাতুল বিদা ও আন্তর্জাতিক “আল কুদস দিবস” পালিত হচ্ছে।আজকের দিনটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই দিনে জুমআর নামাজ আদায়ের জন্য ব্যাকুল থাকেন বিশ্বাসীরা।মহান আল্লাহর দরবারে হাজিরা দিয়ে আবেগ আপ্লূত চিত্তে মাগফিরাত কামনা করেন বিশ্বের সকল বিশ্বাসীরা অপর দিকে পালিত হচ্ছে কুদস দিবস যা অনেকেই জানিনা।
    ইসলামের সূচনালগ্ন থেকে মদিনায় যখন রোজা পালনের বিধান নাজিল হয়, তখন থেকেই প্রতিবছর রমজানের শেষ জুমআকে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে আদায় করছে বিশ্ব মুসলিম।পাশাপাশি এই একই দিন বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক “আল কুদস দিবস”। আল কুদস বা বায়তুল মুকাদ্দাস মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়তম স্থানগুলোর একটি।বায়তুল মুকাদ্দাস বা জেরুজালেম শুধু মুসলমান নয়, বিশ্বের ইহুদি ও খ্রিস্টানদের কাছেও প্রিয় ও পবিত্র স্থান।প্রিয় নবী মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র মেরাজ গমনকালে মসজিদুল আকসায় নামাজ আদায় করেন। তিনি ছিলেন নামাজে অংশগ্রহণকারী সকল নবী-রাসুলের ঈমাম। এ ছাড়া বনি ইসরাইলের নবী-রাসুলগন যেমন হজরত মুসা, দাউদ, সোলায়মান এবং ঈসা আলাইহিমুসসালামগন এর দ্বীন প্রচারের কেন্দ্র ফিলিস্তিন ভূমি।
    হজরত ইবরাহিম আলাইহিমুসসালাম এর মাজার এখনো ফিলিস্তিনের আল-খলিল শহরে বিদ্যমান।হাজারো নবী-রাসুলের স্মৃতিচিহ্ন বুকে ধারন করে রেখেছে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে আল কুদস, মসজিদুল আকসা এবং আশপাশের এলাকাগুলো।
    দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমরা অশুভ হৃদয়ের প্রেতাত্মাদের সাথে কত ধরণের দিবস পালন করি!কিছু দিন আগেও নাপাকদের দোসর শেপুদা নামে এক উচ্চ বিলাসীর ছবি লাগানো টি শার্ট গায়ে দিয়ে ঘুরতে দেখেছি কতেক যুবককে।এর কারণ ওরা জানেনা শেপুদা কে ? কি তার পরিচয় অনেকেই ভেবেছে শেপু একটি তামাশা ! কিন্তু শেপুর কিছু প্রেতাত্মা ছাড়া তার আসল পরিচয় তেমন কেহ জানতোনা।তার নাস্তিক মিশনের বিকৃত সন্তানরা দেশের উঠতি ছেলে মেয়েদের সরলতার সুযোগে শেপুকে আইডল বানিয়ে ফেলে যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। অথচ আমাদের তরুণ সমাজ, যুব সমাজের অনেকেই জানে না আজ “আল কুদস দিবস”। দিবসটি কে বানিয়েছে তা দেখে কি দরকার? জানার দরকার দিবসের ভিতরে কি রয়েছে তা।আমরা নিজেদের অধিকারের কথা বে মালুম ভুলে গেছি।বাহানা করছি নানা ফতুয়ার।তামাশা ভিন্ন কোন কিছু যেন আমাদের ভালই লাগেনা।

    আল আকসা মসজিদের সম্মুখের অংশ

    জানা আবশ্যক যে, নাপাক নাস্তিকদের ভূত ইহুদীবাদীরা অপবিত্র,খারাপ,খান্নাস আত্মাদের ওয়াসওয়াসায় গঠিত পৃথিবীব্যাপী সিন্ডিকেট করে জেরুজালেমের মুসলিমদের প্রথম কেবলা ও অগণিত নবী রাসুলের স্মৃতি বিজড়িত জমি,হজরত ঈসা ইবনে মরিয়মের পৃথিবীতে পুনরায় আগমনের সম্ভাব্য স্থান “বায়তুল আকসা মসজিদ” সহ মজলুম ফিলিস্তিনি জনগণের সকল অধিকার হরণ করছে আর আমরা নানান অজুহাতে আমার নির্যাতিত ভাই,বোন এমন কি অসহায় শিশুটির পক্ষে কথা বলা থেকে বিরত রয়েছি।যাদেরকে নাপাক অশুভ হৃদয়ের প্রেতাত্মারা নির্বিচারে গুলি করে গ্যাস মেরে হেসে খেলে পাখির মত হত্যা করছে! কথিত বিশ্ব মানবতা ও তাদের আজ্ঞাবহ জাতিসংঘ নীরবে সেভ করে যাচ্ছে ওদের আর আত্মরক্ষার অধিকার তো তাদেরও রয়েছে।
    অপরদিকে অশুভ হৃদয়ের প্রেতাত্মারা একে অপরের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। শেয়াল বড় ছোট যাই হোক সব শেয়ালের এক “রা”।পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে সমস্থ নাপাকরা এক প্ল্যাটফর্মে অথচ পবিত্র আল কোরআন,প্রিয় নবীর নির্দেশ ও ইসলামী আকাবেরদের কোন নির্দেশনায় কথিত মুসলিম সমাজ ধারন করছে না।যেমন বলা হয়েছে “তোমরা পরস্পর রাসুল বিমুখ হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ো না” বলা হয়েছে-মুসলিমরা একে অপরের ভাই।অথচ আমরা ভাইকে শত্রু বানিয়েছি আর শত্রুকে বানিয়েছি গলার মালা আর এই সুযোগে সুবিধাভোগিরা আমাদের মাথায় রেখে কাঁঠাল ভেঙ্গে খাচ্ছে আমরা সটান দাঁড়িয়ে আছি মীরজাফরের অনুগত সৈনিকদের মতো যারা একইভাবে বাংলার সালতানাত তুলে দিয়েছিল ব্রিটিশদের হাতে।
    পরিশেষে বলবো হে বিশ্বাসী ! তুমি যদি নিজেকে একজন বিশ্বাসী (ঈমানদার) মনে করো আর শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামকে অনুসরণ অনুকরণ করে থাকো, তাহলে শত ভাগ নিশ্চিত করা যায় কখনো কোন অবিশ্বাসী বিশ্বাসীদের বন্ধু হয় না তার বিশেষ স্বার্থ ছাড়া। তবুও অবিশ্বাসীদের সাথে সতর্কতার সাথে সামাজিক,রাজনৈতিক সু সম্পর্ক স্থাপন করে ফ্যাসাদ মুক্ত সমাজ গঠনে ভুমিকা রাখতে হবে এটাও বিশ্বাসীদের একটি বড় গুণ।
    সর্বশেষে সকলের কল্যাণ কামনা করছি এবং “আল আকসা মসজিদ”সহ বিশ্বে মুসলিমদের সকল বেদখল জমি,সম্মান,সম্পদ দ্রুত দখল মুক্ত হউক, ফিলিস্তিনী শহীদদের বিনিময়ে তাদের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ থাকুক,দুশমনে রাসুলদের হেদায়েত নসিব হোক এই কামনা করি মহান আল্লাহর দরবারে। লেখকঃ  মুহাম্মদ আনিছুল ইসলাম আশরাফী।