আত্রাইয়ে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

    0
    227

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২২জুন,নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) থেকেঃ “ঈদে চাই নতুন পোশাক” ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। তাই নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মার্কেটগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে তাই দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে প্রিয়জনের উপহার কিনতে ধনী ও মধ্যবিত্তদের পাশাপাশি কেনা কাটায় ব্যস্থ সময় পার করছেন নিম্নবিত্তের খেটে খাওয়া মানুষও। এবারে দেশী পোষাকের পাশাপাশি ভারতীয় পোষাকেও ছেয়ে গেছে বিভিন্ন মার্কেটের শপিং মল ও বীপণী গুলোতে। তবে এসব মার্কেটে মানসম্মত দেশীয় পোশাক সামগ্রী থাকলেও শিশু ও উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের ভারতীয় পোশাকের প্রতি চাহিদা একটু বেশী।
    সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সাহেবগঞ্জ বাজার নিউমার্কেট, সাব-রেজিষ্টার মার্কেট, রহমান সুপার মার্কেট, ট্রেশন বাজার, কলেজ মার্কেটে চলেছে ঈদের জমজমাট কেনাকাটা। অনেকেই এসেছিলেন পরিবারসহ। তবে কেনাকাটায় নারীদের উপস্থিতিই বেশি। প্রচণ্ড ভিড়ের মাঝে কথা বলার সময় নেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
    ভিড়ের মাঝে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন যারা দোকানে আসছেন, তারা সবাই নানার রঙের পছন্দসই পোশাক কিনছেন। এবার বাজারের দেশীয় পোশাক সামগ্রী থাকলেও মহিলা ক্রেতাদের চাহিদা ভারতীয় পোশাকের প্রতি একটু বেশী। তাই সবকিছুকে ছাপিয়ে এবার ভারতীয় চিত্র নায়ক-নায়িকাদের নামের পোশাকের জয়জয়াকার।
    ঈদে মেয়েদের জন্য আকর্ষণীয় পোশাকের মধ্যে রয়েছে হরেক রকম নাম,বাহুবলি টু, রাখিবন্ধন, পটল কুমার, বাজরাঙ্গি ভাইজা, ফ্লোর টার্চ, লাসা, লং স্কাট, শর্ট স্কাটসহ বিভিন্ন নামের থ্রি-পিস ও ফোর পিস পোশাক। তবে দেশী অনেক পোশাক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করেছে। আকৃষ্ট করেছে দেশীয় পণ্য টাঙ্গাইল শাড়ি, জামদানী, খদ্দর, মনীপুরী, বালুচুরী, জর্জেট শাড়ি ইত্যাদি। এক বছরের শিশু থেকে শুরু করে তরুণীদের এক সেট পোশাক ৫০০-৩০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া জুতা সেন্ডেলের দোকানেও ভিড়ের কমতি নেই, নারীদের উপস্থিত বেড়েছে কসমেটিকসে দোকান গুলোতে।
    বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ঈদের পোষাক কিনছে অধ্যক্ষ গোলাম কিবরিয়া জানান, এবারের ঈদেও বাজারে জামা-কাপড়ে দাম একটু বেশী হলেও শেষ পযন্ত কিনতে পেরেছি।
    অপরদিকে, বিভিন্ন প্রতিকুলতা কেটে অনেকেই ঈদের কেনাকাটা করলেও সমস্যায় পড়েছেন নিন্মবিত্ত ও মধ্য আয়ের পরিবারের লোকজন। উপজেলার নিঝুম গার্মেন্টস মালিক নাজমুল জানান, আমার এখানকার অধিকাংশ ক্রেতাই মধ্য ও নিম্মবিত্ত। তাই তারা অল্প ও সীমিত টাকার মধ্যে কেনাকাটা সেরে ফেলতে আগ্রহী। গত বছরের তুলনায় এবারে পোশাকের দাম একটু বেশি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্তরা। এর কারণেই এদের শেষ আশ্রয় ফুটপাতের দোকানগুলো। তবে যাই হোক ঈদের দিনে নতুন জামা কাপড় পরে সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবে এই প্রত্যাশা সবার।