আত্রাইয়ে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত সরকারঃবিএস কোয়াটার চিত্র

    0
    277

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০১ ফেব্রুয়ারি,নাজমুল হক নাহিদ,আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর আত্রাই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন হিসেবে ব্যবহৃত বিএস কোয়াটার গুলোর এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এসব কোয়াটারগুলো পরিত্যক্ত থাকায় অনেকগুলোই অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়ায় পরিণত হতে পারে বলেও মনে করছেন উপজেলার সচেতন মহল। সেই সাথে সরকার বি ত হচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় থেকে।

    জানা যায়, উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে কৃষি বিভাগের বিএস কোয়ার্টার রয়েছে ৮টি। এর মধ্যে ৪ টি একেবারেই জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। এসব কোয়ার্টারগুলো মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কৃষি বিভাগের বিএস (বর্তমানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের) আবাসিক -কাম অফিস হিসেবে ব্যবহার হওয়ার কথা থাকলে ও বর্তমানে তা আর ব্যবহার হচ্ছেনা। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তৃপক্ষের রক্ষণা বেক্ষণের অভাব এবং কোয়ার্টার গুলো অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলে রাখার কারনেই বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয়ে নির্মাণ করা সরকারী সম্পদ এখন বেহাত হতে চলেছে। এমন কি এসব ভবনের দরজা-জানালা থেকে শুরু করে ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এভাবেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিপুুল পরিমান মূল্যের সরকারী সম্পদ। সেই সাথে এসব পরিত্যাক্ত ভবন এখন অসামাজিক কর্মকান্ডের আখড়ায় পরিনত হয়েছে।

    উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৬০-৬১ অর্থ বছরে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার এসব ভবন গুলো হতে স্ব স্ব এলাকার প্রয়োজনে প্রথমে সিড গোডাউন বা বীজাগার হিসাবে নির্মান করে। ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন ফসলের প্রয়োজনীয় উন্নত বীজ কৃষকদের মাঝে বিতরনের সুবিধার্থে সীড গোডাউনগুলো সে সময় নির্মান করা হয়। পরবর্তীতে সরকারী সীড গোডাউনগুলো গত ৮০’র দশকে রি-মডেলিং করে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত কৃষি বিভাগের ব্লক সুপারভাইজারদের (বর্তমানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা) বসবাসের জন্য রুপান্তরিত করা হয়।

    বর্তমানে কোয়াটার গুলো বসবাসের অনুপযোগী বলে ব্লক সুপারভাইজাররা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন। এর পরও কৃষি বিভাগ এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি । জরুরী ভিত্তিতে পুনরায় সংস্কারের মাধ্যমে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলা হলে প্রতি বছর সরকারি রাজস্ব খাতে আয় বৃদ্ধি পাবে বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করেন । সেই সাথে কৃষকদের কাছাকাছি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের অবস্থান নিশ্চিত হলে কৃষকরাও অনেক উপকৃত হবে।

    এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কে এম কাউছার হোসেন বলেন, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি বিএস কোয়াটারগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় যুগ যুগ ধরে পড়ে রয়েছে। আমরা বার বার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি।