আত্রাইয়ে ভাতার কার্ড দেয়ার নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

    0
    206

    আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর আত্রাইয়ে সংরক্ষিত ইউপি সদস্য বিউটি বেগম ও তার সহযোগী নাজমা বেগমের বিরুদ্ধে বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, পঙ্গু ভাতা, স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা, মাতৃত্ব ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে লোক ঠকিয়ে অর্থ আদায়সহ সুবিধা ভোগীদের নিকট হতে পথের মাঝে গতিরোধ করে শারীরিক নির্যাতন ও টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । প্রতিকার চেয়ে ভুক্ত ভোগীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর আবেদন করেছেন।

    জানাযায়, উপজেলার বিশা ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছা. বিউটি বেগম ও তার সহযোগী নাজমা বেগম সুপরিকল্পিতভাবে কৌশলে প্রায় শতাধিক পুরুষ ও মহিলাকে ঠকিয়ে অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রশাসন ও সচেতন মহলের চোখেকে ফাঁকি দিয়ে বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, পঙ্গু ভাতা, স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়াগেছে।

    সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য বিউটি বেগম ও তার সহযোগী নাজমা বেগম অত্যন্ত সু-কৌশলে গ্রামের সহজ সরল ও নিরিহ লোকদের অজ্ঞতা ও সরলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন ভাতার কার্ড করে দিতে চেয়ে অফিস খরচ চাইলে ভুক্তভোগীরা কেহ এনজিও হতে লোন নিয়ে, কেহ গহনা বিক্রি করে, কেহ শেষ সম্বল বাড়ীর ভিটে বন্দক রেখে পাঁচ থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত তাদের হাতে তুলে দেন দুই থেকে আরায় বছর আগে। ভাতার কার্ড কবে হবে জানতে চাইলে হবে বলে কাল ক্ষেপন করে আরো অর্থ দাবি করায় নিরুপায় হয়ে প্রতিকার চেয়ে ইউএনও বরাবর আবেদন করেন তারা। তাদের আবেদনের ব্যাপারে জানতে পেরে বিভিন্ন সময় নানান রকম ভয়ভিতি দেখানোসহ প্রাণনাসের হুমকি দিচ্ছে বলে জানান তারা।

    এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী জোসনা বেগম জানান, বাড়ীরভিটা বন্দক রেখে কার্ড করে নেওয়ার জন্য সাড়েচার হাজার টাকা বিউটিকে দিয়েছি এবং আরো সাত হাজার টাকা পরে দিতে চেয়েছি। প্রায় আরাই বছর হয়ে গেলো এখনো কার্ড হয়নি। কবে হবে জানতে চাইলে বলে বাঁকী সাত হাজার টাকা দেওয়ার পর খোজ নিয়েন।

    এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী চাম্পা জানান, কার্ড করে নেওয়ার জন্য আমার শেষ সম্বল বলতে সাহায্য করা টাকা দিয়ে দুইকানে দুল বানিয়েছিলাম সেটা বিক্রি করে পাঁচ হাজার আর জামাইয়ের কাছে থেকে তিন হাজার ধার নিয়ে মোট আট হাজার টাকা বিউটির হাতে তুলে দিই দুই বছর আগে। কবে কার্ড পাব জানতে চাইলে আমাকে শিখায়েদেয় টাকা আপনার গ্রামের মেম্বারেক দিয়েছেন এই কথাটি বলতে হবে। আমিতো টাকা আপনাকে দিয়েছি বললে তিনি বলেন যান আপনার কার্ড হবেনা।

    এ বিষয়ে জানার জন্য বিউটি বেগম ও নাজমা বেগমের বাড়ীতেগেলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টেরপেয়ে বাড়ীতে তালা ঝুলিয়ে গাঢাকা দেয়। মোবাইলে যোগাযোগ করাহলে বিউটি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তার বিরুদ্ধে সড়যন্ত্র করা হচ্ছে। নাজমার মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় তার সাথে কথাবলা সম্ভব হয়নি।

    এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও সমাজসেবা অফিসার মো. আরিফ হোসেন জানাজ, কার্ড করতে কোন প্রকার খরচ লাগেনা। আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে কেহ যদি অর্থনৈতিক ফায়দালুটে তার দায় শুধু তাদের।

    জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মোল্লা বলেন, বিষয়টি আমার জানানাই। কেহ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ছানাউল ইসলাম বলেন, বিউটির বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগগুলো একত্রিত করে সরকারী কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।