আত্রাইয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ

    0
    229

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৮মার্চ,নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর আত্রাইয়ে একটি বিদ্যালয়ের মাঠ জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। দখলদাররা মাঠের মধ্যে সিমেন্টের পিলার পুঁতে রাখায় গত মঙ্গলবার ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত মহান স্বাধীনতা দিবসের খেলাধুলা করতে পারেনি। এ নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জায়গা উদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

    জানা যায়, আত্রাই উপজেলার সমসপাড়া উচ্চ বিদালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য ৬৭ শতক জায়গার একটি মাঠ রয়েছে। যুগ যুগ থেকে এ মাঠটি বিদ্যালয়ের দখলে থাকায় শিক্ষার্থী ওই মাঠে নিয়মিত খেলুধুলা করে। সম্প্রতি মাঠের জমিদাতার ছেলে ও তার লোকজন এ জমি নিজেদের বলে দাবি করে বিদ্যালয়ের মাঠের জায়গা দখলের জন্য মাঠের মধ্যে সিমেন্টর পিলার পুঁতে দেয়।

    মঙ্গলবার স্থানীয় সাংবাদিকরা সরেজমিন গেলে দেখা যায় মাঠের মধ্যদিয়ে বেশ কয়েকটি সিমেন্টের পিলার পুঁতে রাখা হয়েছে। অন্যান্যদিন শিক্ষার্থীদের কোলাহল থাকলেও সেদিন ছিল মাঠ একেবারে ফাঁকা। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, ওইদিন তাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার কথা ছিল এই মাঠে। কিন্তু তারা খেলাধুলা করতে না পারায় অশ্রুশিক্ত নয়নে বাড়ি ফিরে যায়।

    এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৮ সালে ইব্রাহিম, সারেজান ও মমেজান বিদ্যালয়ের অনুকূলে তাদের দালিলি সম্পত্তির মধ্য হতে ২ দাগে ৬৭ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে দেন। এর পর হতে অদ্যাবধি জমিটি খেলার মাঠ হিসেবে এ বিদ্যালয় ভোগদখল করে আসছে। সম্প্রতি ইব্রাহিমের ছেলে বিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন জমিরি মালিকানা দাবি করে সেখানে সিমেন্টের পিলার পুঁতে মাঠ দখলের চেষ্টা করে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রতিকার চেয়ে আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগপত্রও দাখিল করেছি।

    এ ব্যাপারে ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা জোর পূর্বক জায়গা দখল করতে যাইনি। বরং তারাই অবৈধভাবে এতদিন আমাদের জমি দখল করে রেখেছিল। আমার বাবা মা‘র রেজিষ্ট্রি করে দেয়া যে দালিল তারা দেখাচ্ছেন এটা সত্য নয়। তারা এ জমি দলিল করে দেননি। আমাদেরই পৈত্রিক সম্পত্তি আমরা দখল করছি। আমাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র রয়েছে।
    এ বিষয়ে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ববস্থা নেয়া হবে।