আত্রাইয়ে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

    0
    257

    নাজমুল হক নাহিদ,আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁ জেলার খাদ্যশস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত আত্রাই উপজেলার ৮ ইউনিয়নের প্রতিটি মাঠ জুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। দিগন্তজুড়ে সবুজ আর সবুজ। ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশায় এবার কৃষকরা বুক বেঁধেছে। আত্রাইয়ের মাঠগুলো এখন কৃষকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে।

    কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জমিতে পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় সচেষ্ট হতে প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বিদ্যুতের পর্যাপ্ত সরবরাহ, সারের কোন সংকট না থাকা ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ইরি-বোরো চাষে তেমন একটা বেগ পেতে হচ্ছে না তাদের।

    উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৫০০ শত হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। গতবারে শ্রমিক সংকটের কারণে এবারো ইরি-বোরো চাষ নিয়ে অনেকেই দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বোরো চাষ হয়েছে।

    আত্রাই এলাকা বন্যাদুর্গত এলাকা হিসেবে এ অ লের কৃষকরা এবার বোরো চাষকে সৌভাগ্য হিসেবে মনে করছেন। এদিকে, উপজেলার ডিলারদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল ও সার পাওয়ায় কৃষকরা অনেকটা আশ্বস্ত হয়েছেন। নওগাঁ জেলার খাদ্য উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে আত্রাই উপজেলা।

    এ ব্যাপারে উপজেলার শাহাগোলা গ্রামের কৃষক আজাদ সরদার বলেন, ধান গাছে সময়মতো পানি পাওয়ায় এখন গাছ সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে। এবার বড় ধরনের ঝড় বা শীলা বৃষ্টি না হলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আমরা অধিকহারে বোরো ধান চাষ করেছি। আশা করছি, এবার বোরো ধানে বাম্পার ফলন হবে।

    উপজেলা কালিকাপুর ইউনিয়নের শলিয়া ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা কেএম মাহাবুব বলেন, ইরি-বোরো ধান চাষে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারেন এবং কৃষকরা যেন বোরো চাষে কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

    এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কে এম কাউছার হোসেন বলেন, অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার আত্রাই এলাকার কোথাও মাজড়া পোকার আক্রমণ নেই। ফলে আমরা আশা করছি, এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।