আত্রাইয়ের দর্শনীয় স্থানগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়

    0
    258

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৮জুন,নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর আত্রাই উপজেলার দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। প্রাত্যহিক জীবনের একঘেয়েমি কাটিয়ে একটু আলাদা আমেজে সময় কাটাতে উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলো থেকেও ছুটে আসছে নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমন কি ঈদের দুই দিনপরেও পারিবার পরিজন নিয়ে অতীত সমৃদ্ধ স্মৃতির সান্নিধ্যে ছুটি কাটাতে পেরে আনন্দিত তারা।

    গত শনিবার সরজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে আত্রাই উপজেলা অবস্থিত চারটি দর্শনীয় স্থান বিশ্ব কবি রবিন্দ্রাথ ঠাকুরের কাছাড়ী বাড়ি, প্রকৃতির অনিন্দ্য নিকেতন ভবানীপুর জমিদার বাড়ি, সুটিকিগাঁছা রাবার ড্রাম ও মহত্মাগান্ধির স্মৃতি বিজড়িত গান্ধি আশ্রম। এ ছাড়া রয়েছে শাহাগোলা ইউনিয়নের কদমতলা। যা বিকাল শেষে সূর্য্য অস্ত যাওয়ায় এক অপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা করে। প্রতি বছর ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে আত্রাই উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলা থেকে ছুটে আসে হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষ।

    আত্রাই উপজেলায় বিশেষ কোন দর্শনীয় স্থান না থাকায় বিনোদনের স্থান হিসাবে এ স্থানগুলোতে স্ব-পরিবারে ভ্রমণ করার স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে আত্রাই উপজেলার লোকজনসহ আশপাশের এলাকার মানুষেরা। যান্ত্রিক জীবন থেকে একটু বিনোদন পাওয়ার জন্য সবাই এই লোকেশন গুলোকে পছন্দ করে নিয়েছেন। উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র গুলোর মধ্যে এই স্থানগুলোই অন্যতম। এই স্থানগুলোতে ঘুরতে আসলে বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে আসা পরিচিত মুখ গুলোর সাথে দীর্ঘ দিন পরে দেখা হয়ে যায় অনেকেরই। ফলে ঈদের দিনের ভিড় এক ধরণের মিলন মেলায় পরিণত হয়।

    নাটোর থেকে আসা দর্শক হৃদয় হাসান জানান, আমি চাকরি করি। পরিবারকে তেমন একটা সময় দিতে পারি না। তাই ঈদে প্রকৃতির অনিন্দ্য নিকেতন ভবানীপুর জমিদার বাড়িতে স্ব-পরিবারে এসেছি বেড়ানোর জন্য। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো বলে শত শত দর্শনার্থী এখানে একটু বিনোদনের জন্য এসেছে স্ব-পরিবারে। তবে ভবিষ্যতে এখানে শিশুদের জন্য পার্কের ব্যবস্থা করলে অনেক ভালো হবে।

    পার্শ্ববর্তী বাগমারা উপজেলা থেকে আসা নিশত আনজুমান বলেন, ব্যস্ততার কারণে স্ব-পরিবারে কোথাও বেড়ানোর সময় হয় না। তাই এবার ঈদে স্ব-পরিবারে দিনব্যাপী ভ্রমণের জন্য কবিগুরুর কাছারী বাড়িতে এসেছি। আমার সন্তানদের শিক্ষনীয় অনেক বিষয় এখানে আছে যা থেকে তারা বিশ্বকবির অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারবে।

    এবারের এই ঈদে দর্শনীয় স্থানগুলোতে তুলনামূলক ভাবে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিলো অনেক বেশি। বিশ্ব কবি রবিন্দ্রাথ ঠাকুরের কাছাড়ী বাড়ি থেকে সরকার অনেক টাকা রাজস্ব আয়ও করেছেন। এলাকার সচেতন মহল মনেকরছেন প্রাত্যহিক জীবনের একঘেয়েমি কাটিয়ে একটু আনন্দ উপভোগ করে সবাই অনেক খুশি। তারা আরো মনেকরেন কবিগুরুর কাছারী বাড়ির মত প্রকৃতির অনিন্দ্য নিকেতন ভবানীপুর জমিদার বাড়ি, সুটিকিগাঁছা রাবার ড্রাম ও মহত্মাগান্ধির স্মৃতি বিজড়িত গান্ধি আশ্রম, শাহাগোলা ইউনিয়নের কদমতলা এই স্থানগুলো জাতীয় পর্যায়ে যদি আরো আধুনিকতার ছোঁয়ায় গড়ে তোলা যায় তাহলে এই স্থানগুলো আকর্ষনীয পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং সরকারের রাজস্ব আয় ও হবে।