আটক স্বর্ণ বাটোয়ারা করে পুলিশের এসআই পলাতক

    0
    470

    আমারসিলেট24ডটকম,১৪জানুয়ারীঃ দেড় কেজি স্বর্ণ আত্মসাতের পর  বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম পরিবার নিয়ে পালিয়েছেন। যশোর থেকে পুলিশ কর্মকর্তা তদন্তে আসছে এ খবর জানান পর গতকাল সোমবার রাত ৯টার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে স্বর্ণ আত্মসাতের সব ঘটনা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়ুম আলী সরদার জানেন এবং তিনিই এসএই রফিকুল ইসলামকে সরিয়ে রেখেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২ জানুয়ারি কাগজপুকুর মোড় থেকে ৫১ পিস স্বর্ণের বারসহ মোমিন নামে এক আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ীকে আটক করে পোর্ট থানা পুলিশ। আটক স্বর্ণ ব্যবসায়ী মোমিনের কোমরে বাধা বিশেষ কায়দায় ফিতার মধ্যে রাখা ছিল ৩৬ পিস স্বর্ণের বার এবং জ্যাকেটের পকেটে ছিল ১৫ পিস।

    আটকের সময় তার কোমরে থাকা ৩৬ পিস স্বর্ণের বার পুলিশ উদ্ধার করেছে। পরে কাগজপুকুর থেকে ইজিবাইকে করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে পোর্ট থানার ওসির নিদের্শে মমিনের পকেটে থাকা আরও ১৫ পিস স্বর্ণের বার পুলিশ ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। এ ঘটনায় মোমিনকে রিমান্ডে আনার কথা থাকলেও ঘটনার ১৩ দিন পেরিয়ে যায়। তারপরেও পোর্ট থানা পুলিশ মোমিনকে রিমান্ডে না আনায় উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে সোমবার সকালে যশোর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ মোনিনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন তার কাছে ৫১টি স্বর্ণের বার ছিল। সেখান থেকে পোর্ট থানা পুলিশ কর্মকর্তারা ১৫ পিস রেখে দিয়ে ৩৬ পিস স্বর্ণ প্রচারের জন্য বলেছিল।

    এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কায়ুম আলী সরদার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তিনি জানান, স্বর্ণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম। জানা যায়,সোমবার রাতে যশোর এএসপি সার্কেল বিষয়টি তদন্ত করতে বেনাপোল আসেন। এর পর থেকে রফিকুলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। বর্তমানে তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। থানার পাশে তিনি যে বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন সে বাড়িটিও রাত থেকে তালাবদ্ধ রয়েছে। বিষয়টি ডিবি পুলিশ তদন্ত করে দেখছেন বলে জানা যায়।