আজ “মৌলভীবাজার হানাদার মুক্ত দিবস” পালিত হচ্ছে

    0
    201

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৮ডিসেম্বর,আলী হোসেন রাজন,মৌলভীবাজারঃ আজ বৃহস্পতিবার ৮ ডিসেম্বর। নানা আয়োজনে মৌলভীবাজার হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হচ্ছে। একাত্তর সালের এই দিনে মৌলভীবাজার পুরোপুরি হানাদারমুক্ত হয়। ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পিছু হটতে শুরু করলে প্রতিদিনই বিজয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতে থাকে।
    ২ ডিসেম্বর রাতে শমসেরনগর বিমানবন্দর ও চাতলাপুর বিওপিতে হানাদার বাহিনীর ওপর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণে পাক সেনারা টিকতে না পেরে মৌলভীবাজার শহরে ফিরে আসে।

    ৪ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার শহরের নিকটবর্তী বড়টিলা নামক স্থানে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয়।

    এ যুদ্ধে মিত্রবাহিনীর ১২৭ সেনা শহীদ হন।
    ৮ডিসেম্বর নিয়ে নতুন প্রজম্মকে মুক্তিযোদ্ধের সটিক ইতিহাস  জানান উচিৎ পাঞ্জাব রেজিমেন্ট ৪নং হেড কোয়াটার এর ব্রিগেডিয়ার ইফতেখার রানার নেতৃত্বে মৌলভীবাজারের পিটিআই (প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং) সেন্টারে গড়ে উঠে ব্রিগেড হেড কোয়ার্টার।

    এখানে নির্মিত ব্যাংকারে বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ মানুষ ও মহিলাদের ধরে এনে হত্যা, নির্যাতন চালানো হয়। যা আজও কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে।

    ৪নং সেক্টরের অধীনে সেক্টর কমান্ডার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চৌকস মেজর সি আর দত্ত’র নেতৃতে মৌলভীবাজারে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

    ৭ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী শেরপুরে অবস্থান নিলে মুক্তিবাহিনীও শেরপুরের দিকে অগ্রসর হলে পাক বাহিনী সেখান থেকেও পলায়ন করে সিলেটে চলে যায়।

    ফলে ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার পুরোপুরি মুক্ত হয়।তবে ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার পুরোপুরি হানাদারমুক্ত হলেও ৩ ডিসেম্বর শমশেরনগর ও ৬ ডিসেম্বরই রাজনগর উপজেলায় উড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা।

    মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর যৌথ হামলা প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ৫ ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রতিরক্ষা ভেঙে পড়তে শুরু করে। পাক সেনারা তখন সিলেটের দিকে পালাতে শুরু করে। পালানোর সময় তাদের এলোপাথাড়ি গুলিতে অনেক নিরীহ মানুষ শহীদ হন। সিলেটে যাওয়ার পথে পাক বাহিনী শেরপুরে অবস্থান নিলে সেখান থেকেও তাদের বিতাড়িত করা হয়।

    এতে ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার পুরোপুরি হানাদারমুক্ত হয় এবং আকাশে ওড়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা। এরপর থেকেই মৌলভীবাজারের সর্বস্তরের মানুষ ৮ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস পালন করে আসছে।