আজ মঙ্গলবার বিশ্ব মানবাধিকার দিবস

    0
    222

    আমারসিলেট24ডটকম,১০ডিসেম্বরঃ আজ মঙ্গলবার বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বিস্তারিত কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে  দেশেও দিবসটি পালন করা হবে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা আলাদা বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে আশা প্রকাশ করেছেন, দেশে মানবাধিকার রক্ষায় নিয়োজিত সংগঠনসমূহ জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বর্তমান সরকার মানবাধিকার রক্ষায় অত্যন্ত আন্তরিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের জনগণ মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতন না হওয়ায় তারা নানাভাবে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়। দেশের মানবাধিকার রক্ষায় নিয়োজিত সংগঠনসমূহ মানবাধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি আঃ হামিদ।
    রাষ্ট্রপতি বলেন, মানবাধিকার মানুষের জন্মগত মৌলিক অধিকার। মানবতার পরিপূর্ণ বিকাশে মানবাধিকারের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের জনগণের মানবাধিকার রক্ষার্থে সংবিধানে মৌলিক অধিকার সন্নিবেশিত হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি দিবসটি উদ্যাপনের সফলতা কামনা করেন।
    এদিকে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দেয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ শক্তি ও প্রচেষ্ঠার মাধ্যমে মানবাধিকারকে সমুন্নত রাখার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তার সরকার সকল মানবাধিকার লংঘনের বিচার করার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। ইতোমধ্যে সপরিবারে জাতির পিতা হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে এবং ’৭১এর য্দ্ধুাপরাধী মানবতাবিরোধীদের বিচারের রায় প্রদান চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে জাতি পেয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তার নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়। সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। সংবিধানের তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকারসমূহ সংযোজন করা হয়।
    শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন শুরু করে। সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে। হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চালু করে। তাদের এ ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড আজও থেমে নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচোনোত্তর সময়ে চার দলীয় জোট সন্ত্রাস, হত্যা, নির্যাতন, চক্ষু উৎপাটন, মানুষকে পঙ্গু করে দেওয়াসহ দেশব্যাপী ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করা হয়। সাধারণ মানুষের তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়।