ফরিদপুর, ১৬ মে : আজ ১৬ মে। ৭১ সালের এ দিনে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেশীয় রাজাকার আলবদরদের সহায়তায় পাকহানাদার বাহিনী ৩২ জন হিন্দুসহ ৩৩ গ্রামবাসীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। স্বাধীনতার এত বছর পার হলেও এসব শহীদদের কথা কেউ মনে রাখেনি।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের অন্যান্য স্থানের মতো ফরিদপুরেও ব্যাপক হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় পাকবাহিনী। এরই অংশ হিসাবে একাত্তর সালের আজকের এ দিনে বোয়ালমারী উপজেলার হাসামদিয়া, রাজাপুর, রামনগর, পোয়াইল, শ্রীনগর ও ময়েনদিয়া গ্রামে হামলা চালায় তারা। এসব গ্রাম থেকে একে একে ধরে আনা হয় ৩৩ জনকে। সেদিনের ভয়াবহতার কথা বলতে গিয়ে এখনো শিউরে উঠেন কেউ কেউ।
শান্তি কমিটির সভা করার কথা বলে নিরীহ গ্রামবাসীকে জড়ো করে রাজাকারেরা। পরে পাকবাহিনী এসে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় যারা প্রানে বেঁচে ছিলেন তাদের খুঁজে বের করে হত্যা করা হয়। ফরিদপুরের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ হত্যাকান্ড এখানে সংগঠিত হলেও শহীদদের স্মৃতির জন্য এখানে তেমন কিছুই হয়নি। শহীদ পরিবারের সদস্যরা এখনো রয়েছেন চরমভাবে অবহেলিত। শহীদদের স্মৃতির জন্য স্থানীয় একটি কলেজের উদ্যোগে থেকে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিফলক। প্রতিবছর এখানে শহীদদের স্মরণে হয় নানা অনুষ্ঠান।
বোয়ালমারীর এ হত্যাযজ্ঞের ঘটনার সফঙ্গ যারা জড়িত রয়েছেন তাদের বিচার দাবি করেছেন নিহতের আত্বীয়-স্বজনেরা। তাদের দাবি সেদিনের ঘটনায় পাকবাহিনীকে যারা সহযোগীতা করেছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। যাকে ধরতে এসে পাকবাহিনী বোয়ালমারীতে সেইদিন নৃসংশ হত্যাযজ্ঞ চালায় সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বৃহত্তর ফরিদপুরের যুদ্ধকালীর ফিল্ড কমান্ডার শাহ মো. আবু জাফর হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া পরিবার গুলোর প্রতি সরকারের সু দৃষ্টি কামনা করেন।