আজ বিশ্ব আদিবাসী দিবসঃআতংক ছাড়াও শিক্ষা-স্বাস্থ্যে সমস্যা

    0
    390

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৯আগস্ট,জহিরুল ইসলাম,নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও তারা আদিবাসী। কিন্তু নেই নিজস্ব ভিটেমাটি কিংবা ফসলি জমি। অন্যের লিজ নেয়া পাহাড়ী জমিতে বসবাস করে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে।ভূমিহীন হিসাবে পরগাছার মতো বসবাস করায় তাদের দিন কাটে উচ্ছেদ আতংকে।অথচ তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য,কৃষ্টি ও সংস্কৃতির পাশাপাশি তাদের উৎপাদিত পণ্য আজ দেশের বাজার ছাড়িয়ে রপ্তানী হচ্ছে ইউরোপসহ মধ্যপ্রাচ্যে।
    সিলেটের ঐতিহ্যের একটি অংশ ঘরে মেহমান এসে বিদায়ের আগে পান দিয়ে আপ্যায়ন। আর সেই পানের স্বাদ নিতে হলে খাসিয়া পানের বিকল্প নেই।অথচ যাদের ঘামে পরিশ্রমে এত আপ্যায়ন সেই খাসিয়া সম্প্রদায়ের জীবন জীবিকার করুন ইতিহাস অনেকেরই অজানা। তাদের নেই নিজস্বকোন ভূমি।
    বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যান সংসদ এর আ লিক কমিটির স¤পাদক শ্যামল দেববর্মা বলে, দেশে আদিবাসি দিবসে সরকারী কোন অনুষ্টান করা হয় না। আমরা আদিবাসিরা এই দেশে শত শত বছর ধরে বসবাস করে আসছি। আমাদের এখনও শিকৃতি দেওয়া হয়নি।আমাদের ভুমি অধিকার দেওয়া হয় নি ।আমাদের দিন কাটে উচ্ছেদ আতংকে।
    সমতলে আদিবাসীদের ভুমি কমিশন ব্যবস্থা চালু করে তাদের সকল সমস্যার সমাধান ও নিরাপত্তা দিলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তারা আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে পারবে- বিশ্ব আদিবাসী দিবসে এমনটাই প্রত্যাশা ক্ষুদ্র জাতি সত্তার জনগোষ্ঠী খাসিয়া সম্প্রদায়ের।বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও তারা আদিবাসী। কিন্তু নেই নিজস্ব ভিটেমাটি কিংবা ফসলি জমি। অন্যের লিজ নেয়া পাহাড়ী জমিতে বসবাস করে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। ভূমিহীন হিসাবে পরগাছার মতো বসবাস করায় তাদের দিন কাটে উচ্ছেদ আতংকে। অথচ তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির পাশাপাশি তাদের উৎপাদিত পণ্য আজ দেশের বাজার ছাড়িয়ে রপ্তানী হচ্ছে ইউরোপ মধ্যপ্রাচ্যে।
    সিলেটের ঐতিহ্যের একটি অংশ ঘরে মেহমান এসে বিদায়ের আগে পান দিয়ে আপ্যায়ন। আর সেই পানের স্বাদ নিতে হলে খাসিয়া পানের বিকল্প নেই। অথচ যাদের ঘামে পরিশ্রমে এত আপ্যায়ন সেই খাসিয়া সম্প্রদায়ের জীবন জীবিকার করুন ইতিহাস অনেকেরই অজানা। তাদের নেই নিজস্ব কোন ভূমি। অন্যের লিজকৃত ভূমিতে সুস্বাদু সেই পান চাষ করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়।
    পাহাড়ের উপরে বসবাসকারী অধিকাংশ খাসিয়া পুঞ্জির নেই নিজস্ব কোন রাস্তা। অন্যের লিজকৃত চা বাগানের জমি ও লেবু আনারসের বাগানের মধ্যদিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়।
    এনিয়ে বিভিন্ন সময়ে ছোট খাট সংঘাত সংঘর্ষ থেকে শুরু করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার আতংকে কাটে। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানির অভাব, সেনিটেশন সমস্যা,শিক্ষা,চিকিৎসা ও যাতায়ত ব্যবস্থা সবকিছুতেই অনেক পিছিয়ে রয়েছে এ জনগোষ্ঠী। পানপুঞ্জিতে বসবাসরত খাসিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে ভূমি সমস্যায় ভুগছেন। বংশ পর¤পরায় যুগযুগ ধরে এসব জমিতে বসবাস ও পান চাষ করলেও ভূমির উপর তাদের অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যে কারণে তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ জীবন মানের উন্নয়ন ঘটছে না ।

    বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ফোরাম এর সভাপতি পিটিশন প্রধান সুচিয়াং জানান, আদিবাসিদের শিক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ কম।শ্রীমঙ্গলে ১১ টি বড় পুঞ্জি রয়েছে এই পুঞ্জি গুলোতে সরকারি কোন স্কুল নেই নেই চিকিৎসার সু ব্যবস্থা অনেক দুরে গিয়ে পড়াশুনা ও চিকিৎসা গ্রহন করতে হয়।
    এদিকে শত কষ্ট ও দুঃখ দুদর্শার মাঝেও এসব আদিবাসী খাসিয়ারা তাদের উৎপাদিত পন্যের সুনাম দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের বাজারে ছড়িয়ে দিতে দিনরাত নিরলস ভাবে পরিশ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।